ডাকাতি-ধর্ষণের বিরুদ্ধে জনতারই রুখে দাঁড়ানো উচিত: শামীম
Published: 26th, February 2025 GMT
সম্প্রতি দেশে ছিনতাই, ডাকাতি ও ধর্ষণের কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। জনগণের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। কয়েকদিন আগেও অভিনয়শিল্পী আজিজুর রহমান আজাদের বাড়িতে ডাকাতের আক্রমণে আজাদের মা ও স্ত্রীও আহত হয়েছেন। দেশে চলমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শামীম হাসান সরকার।
মঙ্গলবার টেলিপ্যাব (টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) আয়োজিত পিকনিক ও আনন্দ উদ্যাপনে উপস্থিত হন শামীম। সেখানে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা আমাদের মৌলিক চাহিদা। এটা চাওয়া মানে আমি কোনো দলের না। আমি শিল্পী, আমি সব দলের। একজন নাগরিক হিসেবে চাই, দেশটা নিরাপদ থাকুক। ছিনতাই, ডাকাতি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমজনতারই রুখে দাঁড়ানো উচিৎ।’
তাঁর কথায়, ‘ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলে পরবর্তীতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না। আমাদের প্রত্যেকের বাসায় মা-বোন আছে তাই আমরা কেউ চাই না অন্য মানুষের বোনের সঙ্গে এটা হোক।’
নাটকের মান নিয়ে শামীম বলেন, ‘বর্তমানে নাটকের মান নিয়ে বিভিন্নমহলে প্রশ্ন ওঠে। নাটকের মান উন্নত করতে পাঁচ রকমের বিভাগের সমন্বয় লাগে। আপডেট হওয়ার জন্য সবার চিন্তা থাকতে হয়। তবে আশার বিষয় হলো নাটকের মান নিয়ে সবাই কমবেশি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গল্পের নাম ও নাটকের নিম্নমানের নাটক নিয়ে যেসব প্রশ্ন মানুষ তুলতো সেই জায়গা থেকে আমরা উঠে আসার চেষ্টা করছি।’
একটি নাটক মুক্তি পাওয়ার পর কিছু প্রযোজনা সংস্থা সেটা ভিন্ন নামের নতুন নাটক বলে চালিয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি এক ধরনের প্রতারণা বলে মনে করেন শামীম হাসান।
তার কথায়, ‘একটি নাটক মুক্তির পর ভিন্ন নামের ফের আপলোড করা শিল্পী ও নির্মাতাদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। তবে বিষয়টি দর্শকও বোঝে। এমনকি তারা গালিও দেয়। টাকার জন্য এমন কাজ মোটেও কাম্য নয়। সম্মানটা আমাদের ধরে রাখা জরুরি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ম ম হ স ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি