তাঁত শিল্প বিকাশের জন্য সরকার কিছু উপকরণে শুল্ক সুবিধা দিয়ে আমদানির ব্যবস্থা করলেও দুঃখজনকভাবে এখানে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে, যা ধনীকে আরও ধনী গরিবকে আরও গরীব করেছে। এর ফলে না সরকার না তাঁতীরা এর সুবিধা পেয়েছে। মাঝে কিছু দুর্বৃত্ত পুঁজি করেছে। তাঁতির উপকারে এই কর্মশালায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ এলে তা অতি দ্রুত সংস্কার করা হবে। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) এক কর্মশালায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের আওতায় ‘তাঁতিদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সুতা, রং ও রাসায়নিক সরবরাহ সংক্রান্ত প্রচলিত পদ্ধতির সংস্কার ও উন্নয়ন’ বিষয়ক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, সরকার স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ৬৩ লাখ মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দিচ্ছে, এটা ১ কোটিতে উন্নীত করা হবে। এর প্রক্রিয়াতে দেশের প্রান্তিক তাঁতীদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবো।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পণ্যের মধ্যে উদ্ভাবনশীলতা, বৈচিত্র্য আনতে হবে। উপকরণ সঠিক দামে পেলে অর্থনৈতিকভাবে এটাকে উপযুক্ত মূল্যে বানাতে পারবো। সমাজ ততো উন্নত, তার রীতি যতো উন্নত, আইন নয়। দুর্বৃত্তায়নের যে রীতি এটা থেকে বের হতে হবে। জুলাই বিপ্লব থেকে দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

কাচাঁমাল সাপ্লাই ও সুযোগ সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে সরকারের তদারকি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তাঁতী সমিতির সদস্যরা। যাতে আগামী দিনে তাঁতীদের তৈরি পণ্য আরও বেশি পরিমাণ বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমদ ছিদ্দীকীসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান খান,বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাহিদ হাসান, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক জিনাত আরা।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা

মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।

এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহারে চার পদ
  • মাটির গুণগত বৃদ্ধিতে ‘বিনা বায়োচার’ উদ্ভাবন
  • সুন্দর ভবনে পরিত্যক্ত কক্ষ, কমেছে শিক্ষার্থী, ঢিমেতালে চলে কার্যক্রম
  • ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা