এবার দুদকের জালে সাবেক উপাচার্য ফায়েক উজ্জামান
Published: 27th, February 2025 GMT
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে রেকর্ড গড়েছিলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। টানা ১০ বছর দায়িত্ব পালনকালে তিন শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দায়িত্ব ছাড়ার আগে এক মাসেই ১২৪ জনকে নিয়োগ দেন।
এসব নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তে এর প্রমাণ মিললেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসব নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ে এবার অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চিঠি দিয়ে এসব নিয়োগ ও পদোন্নতির তালিকা এবং নিয়োগ কমিটির সভার কার্যবিবরণীসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ফায়েক উজ্জামান ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১০ সালের নভেম্বরে তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কেসিসির সাবেক মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেকের সুপারিশে ফায়েককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, দুই মেয়াদে তিন শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে ফায়েকের বিরুদ্ধে। নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে তদন্তের জন্য অনুরোধ করা হয়। ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে বিষয়টির তদন্ত শুরু করেন। সে প্রতিবেদন আর আলোর মুখ দেখেনি। প্রতিপক্ষ দমনে কঠোর ছিলেন ফায়েক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলি ও পদোন্নতি আটকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, গ্রন্থাগার, অতিথি ভবনসহ কয়েকটি ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে ফায়েক উজ্জামানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো.
অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। তাঁর বক্তব্য জানতে কয়েকবার ফোন করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: খ ব উপ চ র য উপ চ র য তদন ত এসব ন
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী