আফঈদা–আফরার ফুটবল–পাগল বাবার স্বপ্ন পূরণের গল্প
Published: 27th, February 2025 GMT
আর দশজন বাবার মতো নন তিনি। সন্তানদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানানোর স্বপ্নের পেছনের ছোটেননি। ছুটেছেন তাঁর মতো করে মাঠের সঙ্গে যেন সখ্য গড়েন দুই কন্যা। তা দুই কন্যাই বাবার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। বাবা হিসেবে নিজেকে তাই সার্থক ভাবতেই পারেন খন্দকার আরিফ হাসান।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর পৌরসভায় তাঁর বাস। ছোটখাটো ব্যবসা করেন। তবে ২০১১ সালে ‘স্টুডেন্টস ফুটবল একাডেমি’ নামে ফুটবলের-পাঠশালা খুলে ‘খেলোয়াড় তৈরির কারিগর’ তকমা লাগিয়েছেন গায়ে। জনা পঞ্চাশেক ছেলেমেয়ে ফুটবল শেখে তাঁর কাছে। পরশু বিকেলে ঢাকা থেকে আরিফ হাসানের সঙ্গে যখন মুঠোফোনে কথা হয়, তখনো তিনি সুলতানপুর পিএন উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠে ছেলেমেয়েদের অনুশীলন করাচ্ছিলেন। জিমন্যাস্টিকস ও বক্সিং কোচও তিনি। খেলোয়াড় ছিলেন বলে খেলার প্রতি অসম্ভব প্রেম ৫৬ বছর বয়সী মানুষটার।
কতটা প্রেম, তা বোধহয় বোঝা যাবে তাঁর এই কথায়, ‘খুব ছোটবেলা থেকে খেলি। বলতে পারেন ফুটবল–পাগল ছিলাম। সাতক্ষীরা জেলা দলে খেলেছি। খুলনা বিভাগীয় যুব দলে খেলা হয়েছে। ঢাকায় শান্তিনগর ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে খেলেছি ১৯৮৯-৯০ সালে। এ কারণেই আমি চেয়েছি, আমার দুই মেয়েই খেলাধুলায় আসুক।’
২০২১ সালে জাতীয় বক্সিংয়ে রুপা জেতেন আফরা খন্দকার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫