গজারিয়া উপজেলার চরবলাকী গ্রামে আলোচিত পাঁচ হত্যার আসামিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তাদের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ প্রেস  ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালে গজারিয়ার চরবলাকী এলাকায় তিনজনকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। আরও দু’জনকে হত্যার পর মরদেহ গুম করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় নাজমুল, আরিফ, সুমনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মামলার পর স্বজনরা ৯ বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় আছেন। 
তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে আসামিরা দলীয় পদে ও নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে মামলার বিষয়ে সবার মুখ বন্ধ করে রেখেছিল। বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর হত্যা মামলার আসামিদের বিচার দাবি করছেন তারা। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
মামলার আসামিরা স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে জানিয়ে তারা বলেন, এ ঘটনায় গত বুধবার গজারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ন্যায়বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নিহত ব্যক্তিদের স্বজন। আসামিদের বিচারের পাশাপাশি পরিবারগুলোর নিরাপত্তার দাবি জানান তারা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলে সময় বেঁধে দিল এনসিপি

বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে ছাত্র–জনতা হত্যা মামলার পলাতক শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঁচ নেতার প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) শ্রমিক উইং। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এনসিপির নেতারা মিছিল নিয়ে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন এবং মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান। মনোনয়ন বাতিলে আজ শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তাঁরা।

এর আগে গতকাল এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানী বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আপত্তি জানান।

আপত্তিপত্রে বলা হয়, গঠনতন্ত্রের অজুহাত তুলে কোনো ফ্যাসিস্টকে পুনর্বাসনের চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালাতে যেমন কোনো সংবিধানের দরকার হয়নি, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের প্রতিহত করতেও কোনো গঠনতন্ত্রের দরকার হবে না। মনোনয়ন বাতিল করা না হলে এনসিপির পক্ষ থেকে ফ্যাসিস্টদের প্রতিহত করা হবে।

আবদুল্লাহ আল সানী বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট গণ–আন্দোলনে ছাত্র–জনতা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পলাতক শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঁচ আসামি এই পেশাজীবী সংগঠনের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, এটি ছাত্র–জনতার আত্মত্যাগের প্রতি চরম অবমাননা। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গণ অধিকার পরিষদ ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেও গতকাল পর্যন্ত মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি। এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা এর নিন্দা জানাই।’

যে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল চাওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন শেখ হেলাল, সহসভাপতি পদপ্রার্থী ও বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ইব্রাহীম শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী ও জেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি আবদুল গফুর প্রামাণিক, প্রচার সম্পাদক পদপ্রার্থী ও বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন এবং কার্যকরী সভাপতি পদপ্রার্থী ও শ্রমিক লীগের নেতা আনোয়ার হোসেন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও বগুড়া আদালতের কৌঁসুলি আবদুল বাছেদ বলেন, পলাতক আসামি হওয়া মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য যথেষ্ট নয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে অভিযোগ এসেছে যে পাঁচ প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়ন দাখিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে যাচাই–বাছাই করা হবে এবং প্রার্থীদের আজ সশরীর উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তাঁরা উপস্থিত না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হতে পারে।

২৩ মে বগুড়া জিলা স্কুলে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ১৩তম ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০টি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৪৭২।

সম্পর্কিত নিবন্ধ