কোচ জোসে মরিনিওর ‘ব্যক্তিগত অধিকারে আক্রমণের’ অভিযোগে গ্যালাতাসারাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তুর্কি লিগের দল ফেনারবাচে। ক্লাবটির পক্ষ থেকে গতকাল এ খবর জানানো হয়।

গত সোমবার ‘ইস্তাম্বুল ডার্বি’তে মুখোমুখি হয় ফেনারবাচে–গ্যালাতাসারাই (০–০)। ম্যাচ শেষে ফেনারবাচে কোচ মরিনিওর বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ তোলে গ্যালাতাসারাই। প্রতিপক্ষের বেঞ্চ ‘বানরের মতো লাফাচ্ছিল’—এই মন্তব্য করার মধ্য দিয়েছে মরিনিও ‘স্পষ্টতই অমানবিক উপমা’ দিয়েছেন বলে ক্লাবটির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

আরও পড়ুনআবেদনময় ফুটবলারদের তালিকায় রোনালদো–এমবাপ্পে–বেলিংহাম তাঁর পেছনে ১৮ ঘণ্টা আগে

ফেনারবাচে তাদের কোচের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্লাবটির দাবি, মরিনিওর এই মন্তব্যকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাসঙ্গিকতার বাইরে নিয়ে বিকৃত করে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে’। গতকাল ফেনারবাচে জানিয়েছে, ৫২ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে তারা আদালতে মামলা করেছে।

ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের কোচ জোসে মরিনিওর ব্যক্তিগত অধিকারে আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ফেনারবাচে স্পোর্টস ক্লাবের আইনজীবীরা গ্যালাতাসারাই স্পোর্টস ক্লাবের বিরুদ্ধে ১৯ লাখ ৭ হাজার তুর্কি লিরা নৈতিক ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে।’ ফেনারবাচে ১৯০৭ সাল প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠা সালের সঙ্গে মিল রেখে নৈতিক ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ধার্য করেছে ক্লাবটি।

জরিমানার মুখোমুখি হয়েছেন মরিনিও.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য বললেন, ‘কালিমা পড়ে বিয়ে করেছি’

রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর মতিহার থানায় ছিলেন।

ওই কনস্টেবলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। যে নারীর ঘরে তাকে পাওয়া গেছে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

কনস্টেবল নাসির দাবি করেন, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ওই নারীকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।

মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘‘তালাকপ্রাপ্ত নারী তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে রাতে আমাদের কনস্টেবল যান। তখন স্থানীয়রা দুজনকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের থানায় এনেছি।’’

ওসি বলেন, ‘‘কনস্টেবল দাবি করেছেন, তিনি কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আগের স্ত্রীও বিষয়টি অবগত। তবে, বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এখন তিনি রেজিস্ট্রি করে নিতে চাচ্ছেন। দুজনে থানায় আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

‘‘এক্ষেত্রে, কনস্টেবল নাসিরের আগের স্ত্রীর কোনো আপত্তি থাকলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’’- যোগ করেন ওসি আবদুল মালেক।

রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নাই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ