মেহজাবীনের ‘নীল সুখ’, বিষাদময় এক ভালোবাসার গল্প
Published: 1st, March 2025 GMT
ভোর থেকেই অর্পার ঘরে ভেসে আসছে সানাইয়ের সুর। বারান্দায় বসে চোখের জল ফেলছেন অর্পার মা। কিছুক্ষণ পর বোনের পাশে এসে বসেন অর্পার খালা। ভোরের বাতাসে দুজনের দীর্ঘশ্বাস ভেসে বেড়াতে থাকে।
আজ মারুফের বিয়ে। মারুফ কে, এ কথা যখন অর্পার সহকর্মী জানতে চান, তখন অর্পা বলে, ‘আমার জামাই!’ এভাবে শুরু থেকেই বিষাদের সুর ছড়াতে থাকে ‘নীল সুখ’। আর প্রথম দৃশ্য থেকেই দর্শক অপেক্ষা করতে থাকেন অর্পা আর মারুফের গল্প জানার জন্য।
একনজরেওয়েব ফিল্ম: ‘নীল সুখ’
জনরা: রোমান্টিক ড্রামা
দৈর্ঘ্য: ২ ঘণ্টা ৬ মিনিট
স্ট্রিমিং: বিঞ্জ
পরিচালক: ভিকি জাহেদ
অভিনয়: মেহজাবীন চৌধুরী, ফররুখ আহমেদ রেহান
ভালোবাসার রং শুধু কি লাল হয়, নাকি বিষাদের নীলিমায় মুড়ে থাকে কোনো গল্প? ভিকি জাহেদ এবার এমন এক গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন, যেখানে ভালোবাসার অনেক রং। আর তা প্রকাশ করতে তিনি বেছে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকে, যা কিনা ঋতুরাজ বসন্তের আবার ভালোবাসার আকুলতারও। ‘ফুলে ফুলে ঢ’লে ঢ’লে’ আবহ সংগীতের সঙ্গে দর্শক যেন একাত্ম হতে থাকেন অতীত রোমন্থন করার জন্য। আবার শেষটাও যেন কোথাও গিয়ে মিলে যায় এই গানের কথার সঙ্গে।
‘নীল সুখ’–এ রেহান ও মেহজাবীন। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব