আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সুপার ক্লাসিকোতে কি নেইমার খেলবেন
Published: 1st, March 2025 GMT
লম্বা সময়ের বিরতির পর এই মাসে ফের মাঠে গড়াবে ফুটবলের আন্তর্জাতিক লড়াই। সেই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো। যেখানে সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে ২৬ মার্চ বুধবার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচের দিকে। সুপার ক্লাসিকোর এই ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ এরই মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথম লেগের ম্যাচে মারাকানায় আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল। সেই হারের কারণে এই ম্যাচ নিয়ে নিশ্চিতভাবেই চাপে থাকবে ব্রাজিল। এটি তাদের জন্য প্রতিশোধের ম্যাচও বটে। এই ম্যাচের আগে আরও একটি বিষয় জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। এই ম্যাচে ব্রাজিলের সেরা তারকা নেইমারকে দেখা যাবে তো?
২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে চোটে পড়েন নেইমার। এরপর জাতীয় দলে আর ফেরা হয়নি তাঁর। এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে ডাক পেলে সেটি হবে প্রায় দেড় বছর পর তাঁর দলে ফেরা। শেষ পর্যন্ত তিনি ফিরলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠবেন নেইমারই।
আরও পড়ুনমেসিকে পেনাল্টি নেওয়া শিখিয়েছিলেন নেইমার২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫চোট কিংবা অন্য কোনো নাটকীয়তা না হলে নেইমারের ফেরা অনেকটাই নিশ্চিত। এর মধ্যে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) দেওয়া ৫২ জনের প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়েছে তাঁকে। তবে চূড়ান্ত ঘোষণার সময় এই দল নামিয়ে আনা হবে ২৩ জনে, আর এই দলটি ঘোষণা করা হবে ৮ মার্চ।
লিওনেল মেসি ও নেইমার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন এই ম য চ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা