Samakal:
2025-06-15@20:54:25 GMT

সুমাইয়ার আর কেউ রইল না

Published: 1st, March 2025 GMT

সুমাইয়ার আর কেউ রইল না

সাভারের আশুলিয়ায় গোমাইল এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মা, বাবা ও ফুফুর পর এবার চার বছর বয়সী ভাই শোয়াইদ ইবনে তাহমিদও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। তিন মাস বয়সী সুমাইয়ার কেউ আর রইল না। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শোয়াইদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়াল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা.

শাওন বিন রহমান শিশু শোয়াইদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ওই ঘটনায় এখনও তিনজন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে মনির হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ, সূর্য বানুর ৭ শতাংশ ও জহুরা বেগমের ৫ শতাংশ দগ্ধ। এ ছাড়া দগ্ধ চারজনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আগুনের ঘটনায় সুমাইয়াও ওই দিন দগ্ধ হয়েছিল। তার শরীরের ৯ শতাংশ পুড়েছে। মা-বাবা ও ভাই চলে যাওয়ায় ওই পরিবারের শিশু সুমাইয়াই কেবল এখন বেঁচে রয়েছে। আগুনে শোয়াইদের শরীরের ২৭ শতাংশ, বাবা সুমনের শরীরের ৯৯ শতাংশ এবং মা শারমিনের শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়ে যায়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে মারা যান সুমাইয়ার বাবা সুমন, তিন দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি মা শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে শোয়াইদের ফুফু শিউলি মারা গেছেন ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে।

নিহত শোয়াইদের বড় চাচা সোহেল বলেন, আগুনের ঘটনায় আমার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রীর ও তাদের ছেলেটাও চলে গেল। শুধু তাদের শিশু সন্তান সুমাইয়াকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। সে এখন সুস্থ আছে। ওই আগুনে আমার বোন শিউলিও মারা গেছে।

সোহেল জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি ও সুমন আশুলিয়া এলাকায় চাকরি করেন। ছোট বোন শিউলি শবেবরাতের রাতে ভাই সুমনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সে জন্য তিনিও ওই বাসায় গিয়েছিলেন। ওই দিনের আগুন তাদের পরিবারের চারজনকে কেড়ে নিল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর ভাড়া বাড়িতে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
  • দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী