বিদেশি ছাড়াই প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে খেলেছিল আবাহনী লিমিটেড। দেশিদের নিয়ে ভালো করা দলটির শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও আছে। শক্তি বাড়াতে মধ্যবর্তী দলবদলে দুই বিদেশিকে নিয়েছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। বাজেট কম হওয়ায় পুরোনোদের নিজেদের ডেরায় এনেছে লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আবাহনীতে খেলে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল আগুস্তো সান্তোস দি সিলভাকে ফিরিয়ে এনেছে তারা। এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ওগবাহরকেও নিবন্ধন করেছে তারা। এমেকাও অতীতে আবাহনীর হয়ে খেলে গিয়েছিলেন। 

এই মৌসুমে লিগে বাজে সময় পার করা বসুন্ধরা কিংস দ্বিতীয় পর্বে শক্তি বাড়াতে নিয়েছে চার বিদেশিকে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবও নতুন করে নিবন্ধন করেছে এক বিদেশি। এক বিদেশিকে বিদায় করা ফর্টিস ফুটবল ক্লাব নিবন্ধন করেছে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওজুকো ডেভিড ইফেগুকে।

আগের পাঁচ আসরে লিগে কিংসের দাপটের সঙ্গে পেরে ওঠেনি আবাহনী। এবার বসুন্ধরাকে টপকে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে আছে তারা। যে কারণে রাফায়েল ও এমেকাকে নিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, আবাহনীর সঙ্গে এ দুই ফুটবলারের আত্মার সম্পর্ক। তাই অর্থ নিয়ে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয়নি। আগের মৌসুমগুলোতে আবাহনী ও মোহামেডানকে পেছনে ফেলা বসুন্ধরা এবার ভালো অবস্থায় নেই। ২০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে। তারা দলে ভিড়িয়েছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুয়ান এদুয়ার্দো লেসকানো, ব্রাজিলিয়ান সেন্টার-ব্যাক দাসিয়েল এলিস দস সান্তোস ও ঘানার ফরোয়ার্ড ইভান্স এট্টি। এই তিনজনের মধ্যে লেসকানো রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের মতো বিখ্যাত ক্লাবের যুব দলে খেলেছেন। একই সঙ্গে ফিরিয়ে এনেছে অতীতে ক্লাবটিতে খেলা উজবেকিস্তানের আশরোর গফুরভকে। বসুন্ধরার সঙ্গে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে গফুরভের।

১০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মোহামেডান প্রথম লেগে ধাক্কা খেয়েছিল ফকিরাপুল স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে হেরে। টেবিলের এক নম্বরে থাকলেও আক্রমণভাগে কিছুটা দুর্বল মতিঝিলপাড়ার ক্লাবটি। আক্রমণ ভাগে তাদের মূল ভরসা সুলেমান দিয়াবাতে আছেন দারুণ ছন্দে। তার পরও আগে পুলিশ এফসিতে খেলে যাওয়া ভেনেজুয়েলার ফরোয়ার্ড এদুয়ার্দ মোরিওকে নিবন্ধন করেছে মোহামেডান। ২০২২-২৩ মৌসুমে পুলিশের জার্সিতে ১৮ ম্যাচে ৯টি গোল করেছিলেন ভেনেজুয়েলার এই ফরোয়ার্ড, আর ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১৫ ম্যাচে জালের দেখা পেয়েছিলেন পাঁচবার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফর য় র ড

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা

অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।

সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।

স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হুতিদের হামলায় সৌদি যুবরাজের লোহিত সাগর বন্দর পরিকল্পনা কি ভেস্তে যাবে
  • গাজায় নৃশংসতা চালিয়ে ইসরায়েল কি পশ্চিমা বিশ্বেও একঘরে হয়ে যাচ্ছে
  • স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাকেতার
  • কলকাতায় বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেপ্তার , দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের
  • কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
  • ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে চার পরিবর্তন
  • কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
  • গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
  • মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
  • দলবদলের বাজারে চেলসিই রাজা, শীর্ষ দশে আর কারা