সাভারে ছাত্রজনতা হত্যা মামলায় আলোচিত বিল্লাল গ্রেপ্তার
Published: 2nd, March 2025 GMT
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রজনতা হত্যা মামলায় বিল্লাল হোসেন (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাসহ মাদক কারবারির অভিযোগ রয়েছে।
রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার নিরিবিলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বিল্লাল হোসেন সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর বাসিন্দা। তিনি ডেন্ডাবর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য।
ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, বিল্লালের বিরুদ্ধে হত্যা, চুরিসহ নানা মামলা রয়েছে। তিনি এক সময় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। তবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে তিনি বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন। কিনেছেন অন্তত সাতটি বাড়ি। হয়েছেন অন্তত ৫০ কোটি টাকার মালিক।
প্রায় ২৩ বছর আগে চুরির মামলা থেকে শুরু করে পরবর্তীতে আশুলিয়াসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি থানায় বিল্লালের নামে মাদক, হত্যা, চুরি ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়। এর মধ্যে আশুলিয়া থানায় ২০০৬ সালে হত্যা মামলা, ২০১১ সালে একই থানায় চুরি ও প্রাণনাশের হুমকির মামলা, ২০১৪ সালে সবুজবাগ থানায় কর্মচারী দিয়ে মোটরসাইকেল চুরিসহ প্ররোচনার মামলা;
২০১৮ সালে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় মাদক মামলার আসামি হন তিনি। মামলায় গ্রেপ্তার হলেও কারাগারে বসেই নিজের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/সাব্বির/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।