নারায়ণগঞ্জে এসি বাসের ভাড়া কমিয়ে ৭০ টাকা করার দাবিতে স্মারকলিপি
Published: 3rd, March 2025 GMT
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে এসিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি ও অরাজকতা অবসানের লক্ষে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের পক্ষ থেকে সংগঠনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বির নেতৃত্বে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়াকে স্মারকলিপি প্রদান কারা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, “ ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে একটি কোম্পানী গত সপ্তাহে এসিবাস চালু করে ৮০ টাকা ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ কারলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জে গণপরিবহন নিয়ে অরাজকতা দীর্ঘ দিনের। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনামলে সরকার ও প্রশাসনের সহায়তায় শামীম ওসমানের মাফিয়া বাহিনী নারায়ণগঞ্জের জনগণকে জিম্মি করে নির্বিঘ্নে গণ বিরোধী তৎপরতা চালিয়েছে। তারা গণপরিবহনকে চাঁদা আদায়ের অন্যতম খাত বানিয়েছিল। যখন তখন অযৌক্তিক ভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করে জনদুর্ভোগ তৈরি করেছে। ২০১১ সালেসহ বিভিন্ন সময়ে এর বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে উঠলে তারা ভাড়া কমাতে বাধ্য হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার বদলের পরে নারায়ণগঞ্জের চাঁদাবাজচক্র পালিয়ে যায়। পরে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের জনতার আন্দোলনের মুখে নন-এসি বাসের ভাড়া কিছুটা কমে আসে। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে এসি বাসের নৈরাজ্য অব্যহত রয়েছে। যখন ইচ্ছে তখন বিভিন্ন নামে এখানে বাস নামছে, বন্ধ হচ্ছে, যা ইচ্ছে ভাড়া আদায় করছে। এ সব বাসের রুট পারমিট আছে কি নেই তা নজরদারির যেমন কোন উদ্যোগ নেই, ভাড়া নির্ধারনের ক্ষেত্রেও কোন প্রশাসনিক তৎপরতা নেই। ফলে এসিবাস নিয়ে এখনো এখানে গণপরিবহনচক্র যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে।
সরকার বদলের পর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসি এসিবাস ৬৫ টাকা এবং বিভিন্ন নামে বেসরকারী এসিবাস ৭০ টাকা ভাড়ায় চলেছে। একটা সময় বিআরটিসি এসিবাস বন্ধ হয়ে গেলে শুধু বেসরকারী বাস চলাচল করেছে। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করে “ঢাকা নগর পরিবহন” নামে একটি কোম্পানী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে এসিবাস চালু করে ৮০ টাকা ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ কারলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
আরটিসির (রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) চেয়ারম্যান হিসেবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে এসিবাসের ভাড়া কমিয়ে ৭০ টাকায় আনা এবং যাত্রী-ভোগান্তি অবসানের জন্য আপনাকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।” জেলা প্রশাসক যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের প্রতিনিধিদের এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুরহক দীপু, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র ট গণপর বহন পর বহন এস ব স সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।
সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।
তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।
সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।
প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।
কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।