সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪’ পাচ্ছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভাষা-যোগাযোগ ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. আলীনুর ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখা ২০ জন প্রতিভাবান লেখককে সম্মানিত করতে প্রতি বছরের মতো এবারো ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার’ প্রদান করছে দেশ পাবলিকেশন্স। তিনি ‘চল্লিশের দশকের লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতি’ শাখায় পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) অনুভূতি প্রকাশ করে আলীনুর ইসলাম বলেন, “যেকোন স্বীকৃতি আনন্দের। আর ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার’ পাওয়া আমার জন্য এক বিশেষ গৌরবের বিষয়। তবে এর সঙ্গে দায়িত্বও বহুগুণে বেড়ে যায়। এ অর্জন আমাকে আরও বেশি কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে এবং নতুন সৃষ্টির পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।”

তিনি বলেন, “লোকসাহিত্য আমার শিকড়, আমার অস্তিত্ব। ছোটবেলা থেকেই লোকগান, লোকাচার, লোকক্রীড়ার মধ্যে বড় হয়েছি। এসবের মাঝেই আমার সাহিত্যচর্চার বীজ বোনা হয়েছে। আমার বাবা ছোটবেলায় লোকগানের আসরে নিয়ে যেতেন। সেই পরিবেশে বেড়ে ওঠার ফলে আমাদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টির প্রতি গভীর ভালোবাসা গড়ে ওঠে। সেই ভালোবাসা থেকেই লোকসাহিত্য নিয়ে কাজ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “আর এরই স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার আমার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। তবে এ অর্জনের পেছনে বাবার অবদান অনস্বীকার্য। এ মুহূর্তে তাকে বিশেষভাবে মনে পড়ছে। সব মিলিয়ে, এটি শুধু একটি পুরস্কার নয়, বরং নতুন পথচলার অনুপ্রেরণা।”

আলীনুর ইসলাম ‘বঙ্গরাখাল’ নামে পরিচিত। তিনি এর আগে আবুল মনসুর আহমদ পুরস্কার (২০২০), জলধি সম্মাননা (২০২১), অনুপ্রাণন সাহিত্য সম্মাননা (২০২২) ও কাব্যশ্রী সাহিত্য পুরস্কার (২০২৪) অর্জন করেছেন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল ন র

এছাড়াও পড়ুন:

সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে

সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ  ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।

একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের  প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে,  মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে  ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • ২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ