দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পাচ্ছেন গবি শিক্ষার্থী আলীনুর
Published: 3rd, March 2025 GMT
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪’ পাচ্ছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভাষা-যোগাযোগ ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. আলীনুর ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখা ২০ জন প্রতিভাবান লেখককে সম্মানিত করতে প্রতি বছরের মতো এবারো ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার’ প্রদান করছে দেশ পাবলিকেশন্স। তিনি ‘চল্লিশের দশকের লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতি’ শাখায় পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) অনুভূতি প্রকাশ করে আলীনুর ইসলাম বলেন, “যেকোন স্বীকৃতি আনন্দের। আর ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার’ পাওয়া আমার জন্য এক বিশেষ গৌরবের বিষয়। তবে এর সঙ্গে দায়িত্বও বহুগুণে বেড়ে যায়। এ অর্জন আমাকে আরও বেশি কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে এবং নতুন সৃষ্টির পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।”
তিনি বলেন, “লোকসাহিত্য আমার শিকড়, আমার অস্তিত্ব। ছোটবেলা থেকেই লোকগান, লোকাচার, লোকক্রীড়ার মধ্যে বড় হয়েছি। এসবের মাঝেই আমার সাহিত্যচর্চার বীজ বোনা হয়েছে। আমার বাবা ছোটবেলায় লোকগানের আসরে নিয়ে যেতেন। সেই পরিবেশে বেড়ে ওঠার ফলে আমাদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টির প্রতি গভীর ভালোবাসা গড়ে ওঠে। সেই ভালোবাসা থেকেই লোকসাহিত্য নিয়ে কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আর এরই স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার আমার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। তবে এ অর্জনের পেছনে বাবার অবদান অনস্বীকার্য। এ মুহূর্তে তাকে বিশেষভাবে মনে পড়ছে। সব মিলিয়ে, এটি শুধু একটি পুরস্কার নয়, বরং নতুন পথচলার অনুপ্রেরণা।”
আলীনুর ইসলাম ‘বঙ্গরাখাল’ নামে পরিচিত। তিনি এর আগে আবুল মনসুর আহমদ পুরস্কার (২০২০), জলধি সম্মাননা (২০২১), অনুপ্রাণন সাহিত্য সম্মাননা (২০২২) ও কাব্যশ্রী সাহিত্য পুরস্কার (২০২৪) অর্জন করেছেন।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ