এক লাখ মে. টন চাল ক্রয়ের প্রস্তাব বাতিল, কেনা হচ্ছে ডাল
Published: 5th, March 2025 GMT
বৈদেশিক উৎস থেকে বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত চাল স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়ের প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিকে অবহিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি টিসিবি’র মাধ্যমে বিক্রির জন্য ১০ হাজার মে. টন মসুর ডাল ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভা সূত্রে জানা গেছে, জরুরি প্রয়োজনে বৈদেশিক উৎস থেকে বেসরকারি খাতে ১ লাখ মে. টন চাল আমদানির একটি প্রস্তাব গত ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখের ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির’ সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে বৈদেশিক উৎস থেকে বেসরকারি খাতে স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মে. টন বাসমতি চাল আমদানির জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৯টি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে ৮টি লটের দরদাতার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত দরপত্রে ৫০ হাজার মে. টন বাসমতি সিদ্ধ চালের জন্য উদ্ধৃত দর প্রাক্কলিত বাজার দরের চেয়ে তুলনামূলক অনেক বেশি হওয়ায় টিইসি কর্তৃক দরগ্রহণ না করার সুপারিশ করে। সিদ্ধান্ত বাতিলের বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে কমিটির সভায় তাতে সম্মতি দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মে. টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মে. টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজ এই ডাল সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মসুর ডাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৮ হাজার মে. টন। এ পর্যন্ত ক্রয় চুক্তি সম্পাদন হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৫০ মে. টন।
ঢাকা/হাসানাত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ত দরপত র র জন য কম ট র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্সহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি জমি দখল করে দীর্ঘ ১৬ বছর ভাড়া আদায় ও ৩৭ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা–১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কয়েকজন প্রকৌশলীর সহায়তায় রাজধানীর পল্লবীর ঝিলপাড় এলাকায় প্রায় ৭ একর সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া আদায় করেন ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্। এ সময় তিনি ও তাঁর সহযোগী ব্যক্তিরা প্রায় ৩৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মো. আবু হানিফ ও সাবেক উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ঢাকা ডিভিশন–১) মো. হারিজুর রহমান।
আরও পড়ুনইলিয়াস মোল্লাহর নগদ ২ কোটি, স্ত্রীর হাতে সোয়া কোটি টাকা০৮ ডিসেম্বর ২০২৩দুদক সূত্র বলছে, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্র বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ ধাপে ধাপে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ মামলাটি তাঁর বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের একটি অংশ।
এর আগে ২০২৪ সালের শেষ দিকে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্র বিপুল সম্পদ জব্দ করে দুদক। তখন তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব ও জমিজমার কাগজপত্র যাচাই–বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় চিঠিও পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনমিরপুরে সরকারি জমিতে আওয়ামী গডফাদার ইলিয়াস মোল্লার দখলবাজি ২৩ নভেম্বর ২০২৪