বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা
Published: 5th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। আগামী এপ্রিল মাসে তার ঢাকা সফরের কথা রয়েছে। সফরের প্রস্তুতি হিসেবে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র, সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
ইমরান আহমেদ সিদ্দিকির ঢাকা সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের কোনো বৈঠক হয়নি। সর্বশেষ ২০১২ সালে পাকিস্তানের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ঢাকা সফর করেছিলেন। ফলে এ দীর্ঘ সময় সম্পর্কের কোনো কিছু নিয়েই আলোচনা হয়নি। আগামী মাসে ঢাকা সফরে আসবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে তার সফরের আগে সম্পর্কের কোন কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিয়ে দুই দেশ এগিয়ে নেবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে দেশটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ঢাকা সফর করছেন। তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানের সদ্য সাবেক হাইকমিশনার।
এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন জানায়, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো শক্তিশালি ও পর্যালোচনা করতে ঢাকায় সরকারের একাধিক জেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি। বৈঠকগুলোতে বৈদেশিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, সংস্কৃতি, ভিসা এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগসহ অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো.
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রজমানের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ইমরান আহমেদ। দুই দেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যকে স্বীকৃতি দিয়ে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রগুলো খতিয়ে দেখার বিষয়ে আলোচনা করেন।
সংস্কৃতি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করে দ্বিপক্ষীয় সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো খতিয়ে দেখেন ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি। এর মধ্যে সংগীত, সিনেমা, নাটক, দুই দেশের তরুণদের মধ্যে সংযোগ এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। উভয়ই দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব নাসিমুল গনির সঙ্গে বৈঠকে উভয়পক্ষই দ্বিপক্ষীয় ভ্রমণ সহজ করার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইমর ন আহম দ স দ দ ক পরর ষ ট রমন ত র পরর ষ ট রসচ ব ও পরর ষ ট র সহয গ ত কর ছ ন ব ষয়ক
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।