পটুয়াখালী জেলা শহরের জুবিলী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সাতটি বসতবাড়ি, দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।

আগুনে স্থানীয় শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস (৪৫), জয়ন্ত রায় (৩০), নির্মল কর্মকার (৬০), রিপন কর্মকার (৪৬), ধীমান কর্মকার (৫১) ও বাবুল চন্দ্র শীলের (৫০) বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। এ ছাড়া বাড়ির সামনে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, আজ ভোরে ঘুম থেকে জেগে তিনি পাশের বাসায় আগুন জ্বলতে দেখেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দ্রুত বাইরে বের হন। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে; ঘরের কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারেননি।

বাবুল চন্দ্র শীলের মেয়ে অর্পিতা রানী শীল বলেন, ‘ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে চলে আসি। বসতঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে।’

পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ রাজিব বলেন, খবর পেয়ে চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিক তদন্তের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ

একদল তরুণ ও যুবক বালতি হাতে দৌড়াচ্ছেন। কিছু একটা তুলছেন আর ছুড়ে মারছেন। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।

শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামে এভাবে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিবদমান দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

এর আগে এ বছরের ৫ এপ্রিল ঠিক একইভাবে বিলাসপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

জাজিরা থানা সূত্র জানায়, জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ব্যাপারী এবং একই এলাকার তাইজুল ইসলাম ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ আছে। দুজনই বিলাসপুরের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। নাসির উদ্দিন বিলাসপুরের চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারী এবং তাইজুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল জলিল মাতবরের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ ওই দুই পক্ষের লোকজন গ্রামের দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে একে অপরের ওপর ককটেল ছুড়ে মারেন। তাঁরা দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন অন্তত ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ