‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। তারা এটা (ভোট) করতে চায় কিনা, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই (আওয়ামী লীগ) নিতে হবে। আমি তাদের হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না’। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া সংবাদদাতা সামিরা হুসেইনের নেওয়া সাক্ষাৎকারটি আজ বৃহস্পতিবার বিবিসিতে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকায় সরকারি বাসভবন যমুনায় বসে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনে কারা অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে বলা হলে মুহাম্মদ ইউনূস ‘হতভম্ব’ হয়ে পড়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল না যে আমি সরকারের নেতৃত্ব দেব। আমি আগে কখনও সরকার চালাইনি। অথচ আমাকেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে। ব্যাপারটি যখন ঠিক হয়ে গেল, তখন আমরা কাজগুলো সংগঠিত করতে শুরু করি। আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, দেশের জন্য অর্থনীতি ঠিক করা আমাদের অগ্রাধিকার ছিল।

তিনি আরও বলেন, সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে আমার কোনো ধারণা ছিল না। আগে কখনও সরকার যন্ত্রের কোনো অংশ চালাইনি এবং সেই দায়িত্বই তখন কাঁধে এলো। দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও অর্থনীতি ঠিক করাই দেশের জন্য অগ্রাধিকার ছিল জানিয়ে বলেন, এসব ঠিক হওয়ার পরে আমরা সংগঠিতভাবে কাজ শুরু করি।

ড.

ইউনূস বলেন, শান্তি, শৃঙ্খলা ও অর্থনীতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ভেঙে চুরমার হয়েছে অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অবস্থা। এটা এমন যেন ১৬ বছর ধরে কিছু ভয়ংকর টর্নেডো বয়ে গেছে। আমরা টুকরোগুলো তুলে জড়ো করার চেষ্টা করছি।

আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার সরকার কত দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করতে পারে তার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন করবেন। আমাদের চাওয়া যদি দ্রুত সংস্কার করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরেই আমাদের নির্বাচন হবে। আর যদি সংস্কার দীর্ঘতর হয়, তবে আমাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

শৈলকুপায় ইউপি কার্যালয়ে তালা, বিএনপি নেতাসহ আটক ৬

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিএনপির নেতা মহিদুল ইসলামসহ ছয়জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম তাঁর পছন্দের কিছু ব্যক্তিকে ভিজিডির কার্ড দিতে বলেন। কিন্তু সেই অনুযায়ী কার্ড না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২০-২৫ জন লোক নিয়ে আজ ইউপি কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তিনি ইউপির সচিব হাফিজুর রহমানকে টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে যান। একই সঙ্গে পরিষদের ভেতরে থাকা সেবাপ্রত্যাশী ও কর্মচারীদের আটকে রেখে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। সচিবকে তুলে নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গেলে সেনাবাহিনী ওই বিএনপি নেতাসহ ছয়জনকে আটক করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় সচিব হাফিজুর রহমানকে।

এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই ঘণ্টা পর তালা ভেঙে ভেতরে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করে।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেওয়ার ঘটনায় ছয়জন আটক হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিষদে তালা দিয়ে সচিবকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তাঁরা উপজেলায় আসেন। আমি ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকারি অফিসে তালা দেওয়ার অপরাধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের আটক করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মীদের মতের মূল্য নাই, জিএম কা‌দের দল চালান স্ত্রীর কথায় 
  • সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে: আইএসপিআর
  • রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদাল
  • ব্রেন হ্যাক: স্বাভাবিক হওয়ার পাঁচ উপায় জেনে নিন
  • সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
  • শৈলকুপায় ইউপি কার্যালয়ে তালা, বিএনপি নেতাসহ আটক ৬
  • ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ায় বিএনপি নেতা আটক
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির অনেকের জীবননাশের হুমকি ছিল, আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে
  • ‘ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন হওয়া দেশকে স্থিতিশীলতায় ফিরিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার’
  • অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা