রংপুরের বদরগঞ্জে বেশি দামে সার বিক্রির প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির বদরগঞ্জ শাখার দুই সদস্য। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিএডিসির সারের ডিলার মনোয়ার হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মারধরের শিকার জাতীয় নাগরিক কমিটির স্থানীয় দুই সদস্য হলেন সাজেদুল ইসলাম ও শাহ পরান। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বোর্ডের হাটে ওই দুজনের ওপর হামলা হয়। আহত সাজেদুর রহমান বাদী হয়ে ডিলার মনোয়ার হোসেনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বদরগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ডিলার। তাঁর সারের দোকান ওই ইউনিয়নের বোর্ডেরহাট বাজারে অবস্থিত।

ামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রাসায়নিক সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কৃষকের কাছে সার বিক্রি করে আসছিলেন। তিনি নিজ বাড়িতে সার রেখে দোকান ফাঁকা রাখতেন। রশিদ ছাড়াই চড়া দামে কৃষকের কাছে ইউরিয়া, এমওপি ও টিএসপি সার বিক্রি করতেন।

সাজেদুর রহমান বলেন, ‘মনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে সার বেশি দামে বিক্রি করে আসছিলেন। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। দুই দিন আগে স্থানীয় এক সাংবাদিক তাঁর দোকানে যান। সেখানে বেশি দামে সার বিক্রির প্রতিবাদ করি এবং ওই সাংবাদিক আমাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। এতে ডিলার মনোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে লোক ভাড়া করে আমাদের ওপর হামলা চালান।’

বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ওই ঘটনায় গতকাল রাতে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন সাজেদুর রহমান। রাতেই মামলার প্রধান আসামি মনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র মন য় র হ স ন বদরগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ