সবেতনে সর্বোচ্চ ১২ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পেতে চলেছেন উইমেন টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউটিএ) তালিকাভুক্ত নারী টেনিস খেলোয়াড়েরা। সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) অর্থায়নে ডব্লিউটিএ যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউটিএ এ ঘোষণা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩২০ জনের বেশি ডব্লিউটিএ খেলোয়াড়কে ‘দ্য পিআইএ ডব্লিউটিএ মেটারনিটি ফান্ড প্রোগ্রাম’–এর আওতায় এ সুবিধা দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ডব্লিউটিএর খেলোয়াড়েরা প্রথমবারের মতো সবেতনে সর্বোচ্চ ১২ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পেতে চলেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা পরিবার গঠনে সন্তান জন্মদানের জন্য প্রজনন সক্ষমতা বাড়ানোর চিকিৎসা গ্রহণের অনুমতিও পাবেন। ওই উদ্যোগে আরও বেশ কিছু সুবিধাও তাঁরা পাবেন।’

তবে এ সুবিধা পেতে নারী খেলোয়াড়দের ‘একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সংখ্যায় ডব্লিউটিএ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হবে’।

সৌদি আরব ও ডব্লিউটিএর এই যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন টোকিও অলিম্পিকে টেনিসে স্বর্ণপদকজয়ী নারী খেলোয়াড় সুইজারল্যান্ডের বেলিন্ডা বেনচিক। গত বছর এপ্রিলে তাঁর মেয়ে বেলার জন্ম হয়। মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে সম্প্রতি তিনি ডব্লিউটিএ ট্যুরে ফিরে এসেছেন।

বেনচিক বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে এটা সত্যিই সেরা খবর। আমি মনে করি, নারীদের খেলাধুলায় ডব্লিউটিএ প্রথম এটা করতে পারায় ডব্লিউটিএর খেলোয়াড় হিসেবে আমরা খুবই গর্বিত।’

আরও পড়ুনসভিতোলিনায় ফিরল টেনিসের অদম্য মায়েদের সাফল্যের গল্প১৩ জুলাই ২০২৩

‘যাঁরা পরিবার গঠন করে খেলায় আবার ফিরে আসতে চান, তাঁদের সবার জন্য এটা দারুণ কিছু, বিশেষ করে র‍্যাংকিংয়ে নিচের সারিতে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য, যাঁদের দেড় বছর ধরে খেলার বাইরে থাকার সময় কোনোরকম টিকে থাকতে হয় এবং তারপর তাঁদের ফিরে আসার চেষ্টা করতে হয়।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ২২৪

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭৭ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ