বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সন্ধ্যার আকাশ এখন বেশ সুন্দর। রাত যত বাড়তে থাকে, ততই আকাশ তার তারার ঝাঁপি নিয়ে বসে। খালি চোখে কিংবা স্বল্পক্ষমতার বাইনোকুলার ও টেলিস্কোপ নিয়ে আকাশের অনেক চমকের খোঁজ মিলছে এখন।

৮ মার্চ

এদিন শুক্লপক্ষের অর্ধচন্দ্র দেখা যাবে। সারা রাত ধরেই উজ্জ্বলভাবে আকাশে অবস্থান করবে। গ্রহের মধ্যে শুক্র সূর্যাস্তের পরই পশ্চিমাকাশে দৃশ্যমান হবে। যদিও রাত ৮টা ১০ মিনিটের পরই শুক্র আর দেখা যাবে না। অন্যদিকে মঙ্গল গ্রহ রাত ৩টা ২ মিনিট পর্যন্ত আকাশে অবস্থান করবে। সারা রাতই চমৎকার দৃশ্যমানতা থাকবে মঙ্গল গ্রহের। আকাশে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিট পর্যন্ত বুধ গ্রহের সামান্য উপস্থিতি বোঝা যাবে, যা খালি চোখে দেখা বেশ কষ্টকর হবে। বৃহস্পতি গ্রহ রাত ১২টা ২১ মিনিট পর্যন্ত আকাশে বেশ স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। সন্ধ্যার আকাশে খুবই সামান্য সময়ের জন্য শনি গ্রহ দেখা যাবে। সূর্যের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এটি পর্যবেক্ষণ করা বেশ কঠিন হবে। নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে ওরিয়ন সূর্যাস্তের পর থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাকাশে স্পস্টভাবে আধিপত্য বিস্তার করবে। তিনটি নক্ষত্রের মাধ্যমে সহজেই শনাক্ত করা যাবে ওরিয়নের বেল্ট। বৃষ বা টাওরাস ওরিয়নের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করবে। উজ্জ্বল নক্ষত্র অ্যালডেবারান দেখা যাবে এখানে। জেমিনি বা মিথুন ওরিয়নের উত্তর-পূর্বে থাকবে। যমজ নক্ষত্র ক্যাস্টর ও পোলাক্স দেখতে পাবেন সেখানে। এদিন আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে থাকবে সিরিয়াস। এটি ক্যানিস মেজর নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত, ওরিয়নের দক্ষিণে যার অবস্থান।

৯ মার্চ

চাঁদ তার মোমের গিব্বাস পর্বে অবস্থান করে যথেষ্ট আলো প্রদান করবে। গ্রহের মধ্যে শুক্র গ্রহ সূর্যাস্তের পর থেকেই পশ্চিমাকাশে উজ্জ্বলভাবে জ্বলতে দেখা যাবে। রাত ২টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহ দেখা যাবে। মধ্যরাত ১২টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ দেখা যাবে। ওরিয়ন, টাওরাস ও জেমিনি সন্ধ্যার আকাশে থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে। লিওকে সূর্যাস্তের পর পুবাকাশে উদয় হতে দেখা যাবে। উজ্জ্বল নক্ষত্র রেগুলাস দিয়ে শনাক্ত করতে পারবেন।

১০ মার্চ

চাঁদ এদিন পূর্ণ পর্বের কাছাকাছি উজ্জ্বল আলো নিয়ে অবস্থান করবে।  গ্রহের মধ্যে শুক্র গ্রহ সূর্যাস্তের পর থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে। মঙ্গল গ্রহ শেষরাত ২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত চমৎকারভাবে দৃশ্যমান থাকবে। এদিন আকাশে ক্যানসার তারকাপুঞ্জ দেখতে পারেন। জিমিনি ও লিও পুঞ্জের মধ্যে অবস্থান করবে। সন্ধ্যার পরই আকাশে কাশ্যপেয় বা ক্যাসিওপিয়া নক্ষত্রমণ্ডল দেখা যাবে।

১১ মার্চ

আকাশে শুক্লপক্ষের অর্ধচন্দ্র বা ওয়াক্সিং গিব্বাস ফেজে দেখা যাবে। সূর্যাস্তের পরই দৃশ্যমান হবে শুক্র গ্রহ। শেষরাত ২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহ দেখা যাবে। নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে ওরিয়ন, টাওরাস, জেমিনি, লিও এবং ক্যানসার রাতের বেলা বেশ ভালোভাবেই দৃশ্যমান থাকবে। আকাশে এদিন বৃহস্পতিকে শনাক্ত করা সহজ হবে। টাওরাস তারকাপুঞ্জের উজ্জ্বলতম বিন্দু হিসেবে সূর্যাস্তের পর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করবে। গ্রহটির ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে গ্যানিমিড ও ইউরোপা চাঁদের চলাচলের ছায়া দেখা যাবে।

১২ মার্চ

চাঁদ প্রায় পূর্ণ অবস্থায় আকাশে উজ্জ্বল আলো নিয়ে অবস্থান করবে।

১৩ মার্চ

এদিন পূর্ণিমা। আর মধ্যরাত পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহ দেখা যাবে।

১৪ মার্চ

এদিন উত্তর গোলার্ধের অনেক জায়গা থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে। এটি বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যমান হবে না। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় থাকা বাংলাদেশিরা দেখতে পাবেন। এই গ্রহণ অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর-পূর্ব এশিয়ার ওপর থেকে দেখা যাবে।

সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ ও স্কাই ম্যাপস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স র য স ত র পর অবস থ ন করব পর থ ক র পরই

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ