চট্টগ্রামের ৯ আন্তঃনগর ট্রেনের নতুন সূচি
Published: 9th, March 2025 GMT
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার ও ময়মনসিংহের পথে চলাচলকারী ১৫টি ট্রেনের মধ্যে ৯টির চলাচলের সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে। সোমবার থেকে ট্রেনগুলো নতুন সূচিতে চলবে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল-৫৪ অনুযায়ী, ট্রেন ছাড়া ও গন্তব্যে পৌঁছার সময়ে কিছুটা কম-বেশি করা হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর পূর্ব রেলের সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছিল। এ হিসাবে ১৬ মাস পর রেলের সূচিতে পরিবর্তন আনা হলো।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো.
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু নতুন স্টেশন চালু হয়েছে, আবার কিছু বন্ধও হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে যাত্রীসেবা উন্নত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নতুন সূচি করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুসারে, আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৭টার বদলে ৭টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে আগের সূচি অনুযায়ী বিকেল সাড়ে ৪টায় ছাড়বে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে বিকেল পৌনে ৫টার বদলে ৫টায় ছাড়বে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় আগের সময়ই ছাড়বে। চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস নতুন সূচিতে সন্ধ্যা ৬টার বদলে বিকাল সোয়া ৫টায় ছাড়বে। একই ট্রেন চাঁদপুর থেকে সকাল ৫টাতেই ছাড়বে। জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার সময় সকাল সোয়া ৯টায় ঠিক থাকলেও জামালপুর থেকে ছাড়ার সময় বদলেছে। রাত ৮টা ১০ মিনিটের বদলে ছাড়বে রাত ৮টায়।
ঢাকামুখী চট্টলা এক্সপ্রেস আগের সময় সকাল ৬টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে, সেই ট্রেন ঢাকা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ এর বদলে ছাড়বে ২টা ১৫ মিনিটে। কক্সবাজার এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। অপরদিকে পর্যটক এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ৮টার বদলে পৌনে ৮টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ১০টা ৩৫ মিনিটের পরিবর্তে ১০টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। সৈকত এক্সপ্রেস রাত সোয়া ৮টার পরিবর্তে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ৮টায়। তবে অপরিবর্তিত থাকবে অন্য আন্তঃনগর ট্রেনগুলো।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ র লওয় ট র বদল র লওয় র র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?
ইরানকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটন–তেহরান আলোচনা সফল করতে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইরান চুক্তি নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সেদিন থেকেই এই ৬০ দিনের সময়সীমা গণনা শুরু হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালাল ইরানের অন্তত ৮টি শহরে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ সিএনএনের সাংবাদিক ডানা বাসকে বলেন, ‘আমার কথা শোনা উচিত ছিল ইরানের। যখন আমি বলেছিলাম—আপনি জানেন, আমি ওদের ৬০ দিনের এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আপনি জানেন কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওদের ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, আর আজ ৬১তম দিন।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উদ্দেশে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বছরের শুরুর দিকে ফক্সনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিঠির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, ইরান আলোচনায় আসবে—আমি তাদের চিঠি লিখে জানিয়েছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, আমাদের যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য ভয়াবহ হবে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’
ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।