ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের পথে অগ্রগতি দেখানোর জন্য রাশিয়াকে নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পথে অগ্রগতি দেখা না গেলে রাশিয়াকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে সাড়ে তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাত নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে অগ্রগতি না হলে রাশিয়া ও দেশটির রপ্তানি পণ্যের ক্রেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। নতুন এই সময়সীমা ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, এর আগে এ ধরনের হুমকি বাস্তবায়ন নিয়ে ট্রাম্প দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও এবার তিনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছেন।

‘আমি নতুন একটি সময়সীমা দিতে যাচ্ছি.

.. আজ থেকে ১০ বা ১২ দিনের সে সময়সীমা। অপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই... আমরা কোনো অগ্রগতিই দেখতে পাচ্ছি না।’ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

গতকাল স্কটল্যান্ডে অবস্থানকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ হুমকি দিয়েছেন।

স্কটল্যান্ডে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি সেখানে তিনি গলফও খেলেন।

সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি পুতিনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চলতি মাসের শুরুতে বেঁধে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা কমিয়ে আনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নতুন একটি সময়সীমা দিতে যাচ্ছি... আজ থেকে ১০ বা ১২ দিনের সে সময়সীমা। অপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই... আমরা কোনো অগ্রগতিই দেখতে পাচ্ছি না।’

এ ব্যাপারে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ মনে করেন, ট্রাম্প ‘সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার খেলা’ খেলছেন। আর এ ‘খেলা’ যুক্তরাষ্ট্রকে একটি যুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মেদভেদেভ লেখেন, ‘প্রতিটি নতুন সময়সীমার মানে হলো একেকটি হুমকি এবং তা যুদ্ধের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নয়, বরং তাঁর (ট্রাম্পের) নিজ দেশের সঙ্গেই এই সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ’ ও ‘সময়োপযোগী’ উল্লেখ করে প্রশংসা করেছেন। তিনি মনে করেন, এই বক্তব্য শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সময়মতো তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এবং দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শক্ত অবস্থানে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়, যা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।

জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘এই ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধে ও মানুষের প্রাণ বাঁচানোর দিকে মনোযোগী হওয়ায় আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য দ ধ বন ধ ইউক র ন সময়স ম কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গৌহাটি টেস্টে ‘লাঞ্চের আগে টি-ব্রেক’! জানুন কেন এই ব্যতিক্রম

টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী দিনের বিরতিগুলোর ক্রম থাকে- টস, লাঞ্চ, টি এবং শেষে স্টাম্পস। কিন্তু আসন্ন ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে সেই নিয়ম ভেঙে দেখা যাবে এক অভিনব দৃশ্য। ২২ নভেম্বর গৌহাটির বারসাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে লাঞ্চের আগে দেওয়া হবে টি-ব্রেক। ভারতীয় টেস্ট ইতিহাসে যা ঘটছে প্রথমবারের মতো।

কেন লাঞ্চের আগে টি-ব্রেক?
গৌহাটির বারসাপারা স্টেডিয়াম ভারতের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। যেখানে সূর্যোদয় হয় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক আগে। ফলে সন্ধ্যা নেমেও আসে তাড়াতাড়ি। এই প্রাকৃতিক সময়ের পার্থক্যের কারণে দিনের পূর্ণ ৯০ ওভার খেলা শেষ করা প্রায়ই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই খেলার সময় সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগাতে এবং আলো নিভে যাওয়ার আগেই দিনের খেলা শেষ করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) যৌথভাবে বিরতির সময়সূচিতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

রোহিতের সেঞ্চুরির ‘হাফ-সেঞ্চুরি’, ঢুকলেন এলিট ক্লাবে

রশিদ-জাম্পাকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের রিশাদ

নতুন সময়সূচি:
নতুন সূচি অনুযায়ী ম্যাচ শুরু হবে সকাল ৯টায়। যা ভারতের স্বাভাবিক টেস্ট সময়ের (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট) চেয়ে আধঘণ্টা আগে।

প্রথম সেশন: সকাল ৯টা থেকে ১১টা,
টি-ব্রেক: সকাল ১১টা থেকে ১১টা ২০ পর্যন্ত (২০ মিনিট),
দ্বিতীয় সেশন: সকাল ১১টা ২০ থেকে দুপুর ১টা ২০ পর্যন্ত,
লাঞ্চ ব্রেক: দুপুর ১টা ২০ থেকে ২টা পর্যন্ত (৪০ মিনিট),
শেষ সেশন: দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এতে সূর্যাস্তের আগেই খেলা শেষ করা সম্ভব হবে। আবার দর্শকরাও পাবেন দিনের পূর্ণ খেলার স্বাদ।

ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এই পরিবর্তন নিঃসন্দেহে এক অভিনব অধ্যায়, যা প্রমাণ করে খেলার সৌন্দর্য যেমন ঐতিহ্যে, তেমনি তা সময়ের প্রয়োজনেও অভিযোজিত হয়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন
  • গৌহাটি টেস্টে ‘লাঞ্চের আগে টি-ব্রেক’! জানুন কেন এই ব্যতিক্রম