মুলা, শশা, গাজর এগুলোকে আমরা সবজি হিসেবে চিনি। কিন্তু বিশ্বের ১১জন বদকের একটি দল আছে যে দলটি ‘দ্য ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রা’ নামে পরিচিত। এই দলের সদস্যরা সবজিতে সুর তুলতে পারেন। তারা বিশ্বাস করেন, যেকোন কিছুতে সুর সৃষ্টি করা সম্ভব। তাদের বাদ্যযন্ত্রের তালিকায় রয়েছে মুলা, গাজর, শসা, বেগুন, কুমড়া মতো সবজি।

 ‘দ্য ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রা’ দলটি গঠিত হয় ১৯৯৮ সালে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়। গণমাধ্যমের তথ্য, এই বাদক দলটি এ পর্যন্ত ৩৪৪টি কনসার্টে তাদের বিশেষভাবে তৈরি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছে। 

ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রার ওয়েবসাইটের তথ্য, এই দলটি বিশ্বাস করে যে তারা যে ধ্বনি তৈরি করতে পারে, সেই ধ্বনি অন্য কোনো বাদ্যযন্ত্র দিয়ে (সহজে) করা সম্ভব নয়। এগুলো থেকে কখনও প্রাণীদের মতো আওয়াজ বের হয়, কখনো কখনো একেবারে বিমূর্ত ধ্বনি।’

বাদক দলটি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে যাচ্ছে এবং তাদের নতুন সব বাদ্যযন্ত্র তৈরির জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয়। কারণ, মঞ্চে তাদের অনুষ্ঠান চলাকালেই সবজি ভেঙে যেতে পারে বা শুকিয়ে যেতে পারে। কনসার্ট শেষে দলটি দর্শকদের সবজির স্যুপ খেতে দেয়। বাদ্যযন্ত্র তৈরি করতে গিয়ে যেসব সবজি বেঁচে যায়, সেগুলো দিয়েই তারা ওই স্যুপ তৈরি করে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ যযন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও খিলগাঁওয়ে দুজনকে গুলি করে হত্যা এবং দুজনকে আহত করার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

অন্য যে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল ও পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

আসামিদের মধ্যে এএসআই চঞ্চল চন্দ্র গ্রেপ্তার আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, তিনি দোষ স্বীকার করেন কি না। জবাবে চঞ্চল চন্দ্র নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আগামী ১৬ অক্টোবর এ মামলার সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে ট্রাইব্যুনাল–১–এ গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ