বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক উত্তরা ব্যাংক পিএলসির ‘প্রবেশনারি অফিসার’ পদের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মোট ১৫০ জনকে এ পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। উত্তরা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরা ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসার পদে মোট ১৫০ জনকে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় ইতিমধ্যে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ৮ এপ্রিল দুপুর ১২টার মধ্যে পারসোনেল ডিপার্টমেন্ট, মানবসম্পদ বিভাগ, উত্তরা ব্যাংক পিএলসি, প্রধান কার্যালয়, ৪৭, শহীদ বীর উত্তম আশফাকুস সামাদ সড়ক, (সাবেক ৯০, মতিঝিল বা/এ), ঢাকা-১০০০ ঠিকানায় যোগদানের জন্য রিপোর্ট করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

যদি কেউ নিয়োগপত্র সময়মতো হাতে না পান, তাহলে আবেদনকারীকে নিয়োগপত্রের ডুপ্লিকেট কপির জন্য আগামী ৬ এপ্রিল অফিস সময়ের মধ্যে পারসোনেল ডিপার্টমেন্ট, মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা এই লিংকে দেখা যাবে।

আরও পড়ুনখাদ্য অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, ১৩ থেকে ১৯তম গ্রেডে পদ ১৭৯১৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য গপত র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।

অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।

ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।

ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।

স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’

উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’

পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ