ইন্টারনেট ব্রাউজারে বেশ কিছু ডিজিটাল মাধ্যম, যেমন– ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার ব্রাউজ করার প্রয়োজনে প্রায় সময়ই লগইন-লগআউট করতে হয়।
আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে গেলে ব্রাউজার পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করবে কিনা, এ বিষয়ে বার্তা (নোটিফিকেশন) আসবে। ইয়েস ক্লিক করলে আইডি পাসওয়ার্ড ব্রাউজারে সেভ হয়ে যায়। কিন্তু এভাবে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করা অফিস বা বাসায় কোনোভাবেই নিরাপদ নয়।
পরে ওই ব্রাউজার দিয়ে নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রবেশে আইডি পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বসে যায়। অর্থাৎ ব্যবহারকারীকে আইডি পাসওয়ার্ড পুনরায় লেখার প্রয়োজন হয় না। ব্যক্তিগত কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড সেভ করলে কোনো সমস্যা না হলেও অন্যস্থান, যেমন– অফিস বা ভ্রমণে কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখলে তা বেহাত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। হুটহাট যে কোনো ওয়াই-ফাই ইন্টারনেটে সংযোগ নিলে পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যেতে পারে। কারণ, তাতে পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত থাকে না। ব্রাউজারে সেভ পাসওয়ার্ডের বার্তা বন্ধ করতে চাইলে মজিলা ফায়ারফক্সের ক্ষেত্রে প্রথমে ব্রাউজার অংশে গিয়ে ওপরের বাঁ পাশ থেকে টুলস মেন্যুতে ক্লিক করে অপশনসে যেতে হবে। ওখানে ‘আস্ক টু সেভ লগইনস অ্যান্ড পাসওয়ার্ডস ফর ওয়েবসাইটস’ বক্স থেকে 
টিক চিহ্ন তুলে দিতে হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প সওয় র ড স

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ