পরিবারে কিংবা কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় অনেকের সমালোচনা শুনতে হতে পারে। কিন্তু কেউ সমালোচনা করলেই সেটা নিজের গায়ে মাখতে যাওয়াটাকে মনোবিদরা বিপদজনক মনে করছেন। আবার কোনো ভুল হচ্ছে মানেই ভুলটা শুধুই আপনার এমনটা ভাবাও আপনার ব্যক্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমন ছোট ছোট অনেক অভ্যাস আছে যেগুলো দীর্ঘমেয়াদে আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। 

বার বার সরি বলা: ভুল হলে সরি বলা ভালো কিন্তু বার বার সরি বলা ভালো নয়। এতে আত্মসম্মান কমে যায়। চেষ্টা করুন ধীরে ধীরে স্বভাব বদলানোর। অন্যের ভুল বার বার নিজের কাঁধে নেওয়ার অভ্যাস আপনার আত্মবিশ্বাস দিনে দিনে কমিয়ে একেবারে তলানীতে নিয়ে আসবে। কখন ক্ষমা চাইতে হবে আর কখন চাইতে হবে না, এটা বোঝার চেষ্টা করতে পারেন। 

প্রাপ্যের চেয়ে কম আশা করা: পরিবারে কিংবা অফিসে আপনি আপনার কাজের মূল্যায়ন আশা করা ছেড়ে দেবেন না। এটা খুবই ক্ষতিকর। এই প্রবণতা আপনাকে ব্যর্থতা বা প্রত্যাখানের অভিজ্ঞতা দিতে পারে। আপনার মনে হতে পারে এই সুযোগের যোগ্য নন আপনি। নিজের মূল্য বোঝার চেষ্টা করুন। 

আরো পড়ুন:

সংসার শুধু রমণীর গুণে সুখের হয় না, পুরুষকেও মানতে হবে ৫ নিয়ম

ঈদে হ্যান্ডপেইন্ট পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন মিতু

বার বার ফোন চেক করা: যুক্তসংগত কারণ ছাড়াই বার বার ফোন চেক করার আত্মবিশ্বাসের কমতি প্রকাশ করে। এতে উদ্বেগ তৈরি হয়। কারও ফোনের অপেক্ষায় থাকা, মেসেজের অপেক্ষায় থাকা মানসিক চাপ তৈরি করে। নিজের জীবন অন্যের প্রতিক্রিয়ার ওপর ছেড়ে দেবেন না।

যেকোনো সমালোচনাকে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া: গঠনমূলক সমালোচনা আপনার করণীয় ঠিক করতে সহায়তা দেবে। তাই সমালোচনাকে সব সময় খারাপভাবে গ্রহণ না করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। এতে আত্মশক্তি বাড়বে।

নিজের যত্ন নিতে অনীহা: নিজের যত্ন নেওয়াকে যদি আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয় তাহলে এটাকে সেলফ টক্সিসিটি বলতে পারেন। মনে রাখা জরুরি যে, নিজের শারীরিক, মানসিক, যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা, এটাকে বিলাসিতা মনে করবেন না।
 
অন্যের মতামত নিয়ে উদ্বিগ্ন: অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করলে আত্মসম্মান কমতে পারে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যের জীবনধারা দেখে নিজেকে বঞ্চিত মনে করবেন না। এগুলোর প্রায় সবই সাজানো, গোছানো। কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের জন্যই এতোসব আয়োজন। আপনি বরং চারপাশের মানুষের বাস্তব জীবন দেখুন, বুঝুন, উপলব্ধি করুন আর নিজের মানসিক শক্তি উন্নত করুন। 

সবসময় অন্যের প্রতি সহানুভূতি দেখানো : সব সময় অন্যের প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দেওয়া আত্মসম্মান ঘাটতির লক্ষণ। এই সমস্যা সমাধানে ‘না’ বলা রপ্ত করুন। 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন য র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন

পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান,  অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।

গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়। 

তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”

নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ