নিজ বাড়িতে জামদানি তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন রনি
Published: 12th, March 2025 GMT
নিজ বাড়িতে জামদানি শাড়ি তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন চাঁদপুরের হাইমচরের রনি পাটোয়ারী। তিনি ৩নং দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিজ এলাকা ছাড়িয়ে বাড়ি তৈরি এই জামদানি শাড়ি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে মরিয়া এই উদ্যোক্তা।  
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজের একটি দোচালা টিনের ঘরে ক্ষুদ্র পরিসরে জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত রনি।
রনির বাবা বিল্লাল পাটোয়ারী বলেন, “প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিক অভাব কাটাতে রনি হাইমচর ছেড়ে পাড়ি জমায় নারায়ণগঞ্জে। পরে সেখানে নানা জায়গায় থেকে জামদানি কাপড় বোনার পুরো কাজ রপ্ত করে সে পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে। একাডেমিক পড়াশুনা না থাকলেও এখন এই শাড়ি বিক্রিতেই রনি সংসারের হাল ধরেছে।”
রনির মা সালমা বেগম বলেন, “সুতা, নাটাই, কাঠের ফ্রেম, কেচিসহ নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে একা হাতে এক একটি জামদানি তৈরি করতে রনির তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। এ কারণে বিভিন্ন যায়গা থেকে অর্ডার এলেও তা ডেলিভারি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে।”
জামদানি শাড়ি তৈরির উদ্যোক্তা রনি পাটোয়ারী বলেন, “আমরা সাত ভাইবোনসহ পরিবারের সবাই মিলে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ করছি। ইতিমধ্যে ভালো সাড়া পেয়েছি। এ কাজে আরও অনেকের কর্মসংস্থান তৈরির প্রত্যাশা রয়েছে। এজন্য আমার সরকারি-বেসরকারি সহয়তা খুব প্রয়োজন।”
রনি পাটোয়ারী আরো বলেন, “আমার তৈরি এক একটি জামদানি শাড়ির বর্তমান মূল্য ৩৭০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কারো চাহিদানুযায়ী অর্ডার পেলে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দামের জামদানি শাড়ি তৈরিও করতে পারি। আমার এ কাজকে এগিয়ে নিতে আমি সবার দোয়া চাই।”
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাইমচরের ৩নং দক্ষিণ আলগী দূর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সর্দার আব্দুল জলিল বলেন, “রনির জামদানি শাড়ির এই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানকে অনেক বড় করতে আমার পরিষদ থেকে সহায়তা থাকবে। আমি চাই এই শিল্প প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক।”
চাঁদপুরের হাইমচরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, “প্রশাসনিক বিভিন্ন মেলায় এই জামদানি শাড়িকে তুলে ধরাসহ এ শিল্পটিকে ছড়িয়ে দিতে রনির এই শিল্প তৎপরতাকে ঘিরে আরও ব্যাপকভাবে কর্মপরিকল্পনায় নেওয়া হবে। ওর যেকোন সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।”
ঢাকা/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ইমচর জ মদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’