ইন্টেলের নতুন সিইও লিপ-বু টান, দায়িত্ব নেবেন ১৮ মার্চ
Published: 14th, March 2025 GMT
একসময় ইন্টেল ছিল বিশ্বের প্রভাবশালী চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। চিপের বাজারে ইন্টেলের এক্স ৮৬ প্রসেসর ছিল চাহিদার শীর্ষে। পারসোনাল কম্পিউটার থেকে শুরু করে বিভিন্ন যন্ত্রে এই চিপ ব্যবহার করা হতো। তবে গত কয়েক বছর ধরেই ব্যবসায়িকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে ইন্টেল। এমনকি এআই চিপ উৎপাদনে এনভিডিয়া যেভাবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে, সেভাবে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। আর তাই আর্থিক ক্ষতি কমাতে কর্মী ছাঁটাইসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনই এক সংকটময় পরিস্থিতিতে ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব পেয়েছেন সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগকারী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা লিপ-বু টান। ১৮ মার্চ থেকে ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন তিনি।
লিপ-বু টানের জন্ম মালয়েশিয়ায় হলেও শৈশব কেটেছে সিঙ্গাপুরে। তিনি নানইয়াং ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পারমাণবিক প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। ১৯৮৭ সালে ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন লিপ-বু টান। এশিয়ার সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৯ সালে টান ক্যাডেন্স ডিজাইন সিস্টেমসের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন লিপ-বু টান। প্রতিষ্ঠানটি মূলত চিপ ডিজাইনের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে।
আরও পড়ুনসত্যিই কি বিক্রি হচ্ছে শীর্ষ প্রসেসর নির্মাতা ইন্টেল২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপের বাজারে এনভিডিয়ার আধিপত্য, আধুনিক চিপ উৎপাদন প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা এবং বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান চাপ—এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে ইন্টেলকে। নতুন সিইও হিসেবে লিপ-বু টানের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ইন্টেলের কৌশলগত অবস্থান ঠিক করা। অর্থাৎ ইন্টেলের মূল ব্যবসা কি পিসি ও সার্ভার চিপেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি এআই চিপ বাজারে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলবে, তা নির্ধারণ করতে হবে লিপ-বু টানকে।
আরও পড়ুনইন্টেল ও এএমডির একাধিক প্রসেসরে নিরাপত্তাত্রুটি, সাইবার হামলার শঙ্কা২২ অক্টোবর ২০২৪নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিজের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে লিপ-বু টান বলেন, ‘যেসব ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে, সেখানে আমাদের আরও বিনিয়োগ করতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি, সেখানে নতুন কিছু উদ্ভাবনের ঝুঁকি নিতে হবে। আর যেসব ক্ষেত্রে অগ্রগতি ধীর, সেখানে গতি বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, লিপ-বু টান এর আগে ইন্টেলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। তবে ২০২৪ সালে কৌশলগত মতপার্থক্যের কারণে তিনি পরিচালনা পর্ষদ ছেড়ে দেন। এবার সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইন্টেলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
সূত্র: ইন্টেল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইন ট ল র প
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।