‘আগেও একাধিক নারীর শ্লীলতাহানি করেন হিটু শেখ’
Published: 14th, March 2025 GMT
মাগুরায় শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রি। স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির। মেশেন না তেমন কারো সাথে। তবে তার মনের মধ্যে কী চলে তা বোঝা মুশকিল। স্থানীয়রা বলছেন, হিটু শেখের চারিত্রিক দুর্বলতার কথা নতুন নয়। পূর্বে একাধিকবার শ্লীলতাহানির সঙ্গে তার জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে সালিশি বৈঠকে তাকে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসিন্দা জানান, গত বছর রমজান মাসে গোসল করার সময় হিটু শেখ প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে জড়িয়ে ধরেন। ওই সময় ভুক্তভোগী গৃহবধূ চিৎকার দিলে হিটু শেখ দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ করেন নিজনান্দুয়ালী এলাকার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার। শালিসের রায়ে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ‘জুতাপেটা’ করা হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, কিছুদিন আগে নিজের ছেলে সজিবের স্ত্রীকেও একা পেয়ে জড়িয়ে ধরেন হিটু শেখ। এ নিয়ে মনমালিন্য হলে হিটু শেখের স্ত্রী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, হিটু শেখ স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির। এলাকায় কারো সঙ্গে মিশত না। রাজনৈতিক দলের কোনো পদ-পদবী না থাকলেও হিটু শেখ আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী বলেন, ‘শুনেছি হিটু শেখ আগে থেকেই চরিত্রহীন। রিমান্ডে এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।