‘বিপাশার সঙ্গে বিচ্ছেদের সময়টা ভীষণ কঠিন ছিল’
Published: 15th, March 2025 GMT
একসময়ের চর্চিত তারকা জুটি ডিনো মরিয়া ও বিপাশা বসু। এ যুগলের পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। কিন্তু এ প্রেম ভেঙে যায়। আর সেই বিচ্ছেদ ঘটেছিল ‘রাজ’ সিনেমার শুটিং সেটে। কয়েক দিন আগে পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ডিনো মরিয়া।
স্মৃতিচারণ করে ডিনো মরিয়া বলেন, “আমরা ব্রেকআপ করেছিলাম। সত্যি বলতে, কিছু সমস্যার কারণে বিপাশার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছিল। পরিস্থিতিটা তার কাছে খুব কঠিন ছিল। প্রতিদিন আমি তাকে শুটিং সেটে দেখতাম। তার মন খারাপ থাকত। যার প্রতি এত বেশি যত্নবান ছিলাম, তাকে এভাবে দেখাও আমার জন্য ভীষণ কঠিন ছিল।”
টিকিয়ে রাখার সবরকম প্রচেষ্টা করার পরও তাদের সম্পর্ক ভাঙনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এ তথ্য উল্লেখ করে ডিনো মরিয়া বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলাম। যদিও আমরা কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছি, তবে তাতে কাজ হয়নি। তারপর আমরা সামনে এগিয়ে যাই।”
বিচ্ছেদের সময়টি ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে মন্তব্য করেন ডিনো। তার ভাষায়, “এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল। কারণ এমন একজনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলো, যার সঙ্গে আপনি বছরের পর বছর কাটিয়েছেন। অথচ কঠোর পরিশ্রম করে আপনি এটি তৈরি করেছিলেন।”
বিপাশার সঙ্গে বিচ্ছেদ, হৃদয় ভেঙেছিল ডিনোর। কিন্তু সময় সব ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে। এ বিষয়ে ডিনো মরিয়া বলেন, “আমাদের দুজনেরই মন খারাপ হয়েছিল। তারপরও আমাদের আলাদা হতে হয়েছিল। এটি আমাদের করতেই হয়েছিল। এটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু সময়ের মতো অন্য কোনো কিছুই অতটা সারিয়ে তুলতে পারে না। সময় সবকিছু সারিয়ে তোলে; আপনাকে শুধু এটাকে বয়ে যেতে দিতে হবে। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, সময়ের সঙ্গে সবকিছুই ঠিক হয়ে যায়।”
সম্পর্ক ভাঙার পর যত সময় গড়ায় ততই তিক্ততা কমে যায়। ফলে বন্ধুত্বের পথ সুগম হয়। এ বিষয়ে ডিনো মরিয়া বলেন, “এরপরও আমরা সেরা বন্ধু হয়ে উঠি। সেই মুহূর্তটি খুব কঠিন ছিল। রাগ, আবেগ, ক্রোধ ছিল। কিন্তু সময় আপনাকে বুঝিয়ে দেবে, এটি কেবল একটি মুহূর্ত ছিল। আমি সত্যিই তাকে উপভোগ করি, সেও আমাকে উপভোগ করে। এজন্য অন্তত বন্ধু হয়ে উঠি।”
সম্পর্ক ভাঙার সময়ের নানা অনুভূতি ব্যাখ্যা করলেও কারণ জানাননি ডিনো। তবে ‘রাজ’ সিনেমার পরিচালক বিক্রম ভাট নিউজ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মনে আছে, সিনেমাটির শুটিং সেটে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছিল। সিনেমাটির ‘ম্যায় আগার সামনে’ শিরোনামে একটি বিয়ের গানের শুটিং করছিলাম। গানটির এক জায়গায় রয়েছে— ‘বিয়ের বেশি দিন বাকি নেই’। এ দৃশ্যের শুটিং যখন চলছিল, তখন বিপাশা ও ডিনো মারামারি শুরু করে। আমার মনে আছে বিপাশা খুব কেঁদেছিল আর ডিনোর মন খারাপ ছিল।”
এ পরিস্থিতি কীভাবে সামলেছিলেন বিক্রম ভাট? সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই পরিচালক বলেন, “আমি তাদের বলেছিলাম, তোমরা এভাবে মারামারি করতে পারো না। আমরা বিয়ের গানের শুটিং করছি। তোমরা কেন দুই দিনের জন্য এই যুদ্ধ বন্ধ রাখছো না? এরপর আমরা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাই। কিন্তু হ্যাঁ, এরপর তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।”
কী কারণে মারামারি করেছিলেন ডিনো-বিপাশা? এ প্রশ্নের উত্তরে বিক্রম ভাট বলেন, “আমি এমন মানুষ নই যে, কারো ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাব। সত্যি আমি জানি না।”
প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পরও ‘গুনাহ’, ‘ইশক হ্যায় তুমসে’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন বিপাশা-ডিনো জুটি। ডিনোর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর জন আব্রাহামের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বিপাশা। যদিও এ সম্পর্কও টিকেনি। সর্বশেষ করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
একজন বাবা তার সন্তানকে সুখী করার জন্য কত কিছুই না করেন। এইতো কয়েকদিন আগে এক বাবা তার আয়ের প্রায় সবটুকু জমিয়ে সন্তানের জন্য সাইকেল কিনে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। নিজের কাছে বাসের টিকিট কেনারও টাকা ছিলো না। অগত্যা বাবা সন্তানের জন্য কেনা সাইকেল চালিয়ে শত শত মাইল দূরের বাড়ির দিকে রওনা করেছিলেন।– এমন কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে প্রতিদিন। আমরা সব সময় সব খবর পাই না। বাবারা আমাদের সুপারহিরো। বাবাকে সুখী করার জন্য আমরাও ছোট ছোট অনেক কিছুই করতে পারি।
বাবার শৈশবের গল্পটা আজ শুনতে পারেন: আজ বাবা দিবস। এ দিবসে আপনি আপনার বাবার শৈশব সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন। একটি প্রশ্নই আপনার বাবাকে তার রঙিন শৈশবের দিকে ফিরিয়ে দেবে। এটা সহজ মনে হতে পারে, কিন্তু গল্প ভাগাভাগি করার সময় আপনিও সেই গল্পের পার্ট হয়ে উঠতে পারবেন। বাবাকে জিজ্ঞাসা করুন ছোটবেলায় তার প্রিয় জিনিসগুলো কেমন ছিলো, সেগুলো কি কি, এখনও বাবা কোন স্মৃতিগুলো লালন করেন সেই সব কিছু জানতে পারেন। এই প্রশ্ন-উত্তরের মুহূর্তগুলো আপনাদের সম্পর্ক সুন্দর করে তুলবে।
বাবার সাথে গাছ লাগাতে পারেন: বাবা দিবস এমন একটি সময়ে আসে, যখন প্রকৃতিতে বৃষ্টি থাকে। সময়টা গাছ লাগানোর জন্য একেবারে উপযুক্ত। এই দিনে বাবার সঙ্গে গাছ লাগাতে পারেন। বাগান থাকলে বাবার সঙ্গে বাগান পরিচর্যা করতে পারেন। গাছের যত্ন নিন, গাছ সম্পর্কে কথা বলুন। দেখবেন সময়টা উপভোগ্য হয়ে উঠছে।
বাবার প্রিয় মিষ্টি উপহার দিন: বাবার দিনটি মিষ্টি করে তুলতে তার প্রিয় মিষ্টি উপহার দিতে পারেন। নিজেই বাবার জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন কেক, কুকিজ, পুডিং, মৌসুমী ফলের শরবত।
বিকেলটা একসঙ্গে উপভোগ করুন: বাবার সঙ্গে বিকেলের শান্ত প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন। বাবার সঙ্গে আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা বিকেল কাটান।
বাবার প্রিয় খাবারের আয়োজন থাকুক ডিনারে: রাতের খাবারের আয়োজনটি বাবার জন্য বিশেষ করে তুলুন। হয়তো আপনার বাবার এমন কোনো প্রিয় খাবার আছে, সেই খাবার রান্নার চেষ্টা করুন। পরিবেশনায় আলাদা নৈপূন্য যোগ করুন।
বাবার সঙ্গে প্রকৃতির শান্ত মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন: বাবার সাথে প্রকৃতির শান্ত মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য দূরবীন ব্যবহার করতে পারেন। বারান্দা বা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে দূরবীন দিয়ে দূরের পাখি ওরা দেখতে পারেন। আপনি আর আপনার বাবা একসঙ্গে কোনো পার্কে বা বনের মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন। একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে গল্প বলতে পারেন।
শুধু বাবা দিবসে নয় বছরের অন্যান্য দিনগুলোতেও বাবারা তার সন্তানের কাছ থেকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, মনোযোগ আর প্রাপ্য সম্মানটুকু পাক।
ঢাকা/লিপি