সাধারণ জ্ঞান–২: ফেব্রুয়ারি-২০২৫। বাংলাদেশ ও আর্ন্তজাতিক বিশ্ব
Published: 15th, March 2025 GMT
বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য নিয়মিত এ আয়োজন।
১.
বাংলাদেশ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করে—২৯ আগস্ট ২০২৪ সালে।
২.
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিশ্ব পল্লি উন্নয়ন দিবস হিসেবে ঘোষণা করে—৬ জুলাইকে।
৩.
বিশ্বের প্রথম রোবোটিক হার্ট প্রতিস্থাপিত হয়—সৌদি আরবে।
৪.
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা—অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুনসাধারণ জ্ঞান: ফেব্রুয়ারি–২০২৫।। বাংলাদেশ ও আর্ন্তজাতিক বিশ্ব০৪ মার্চ ২০২৫৫.
‘One Nation, One Election’-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশ হলো—ভারত।
৬.
থার্মাইট ব্যবহার করে ‘ড্রাগন ড্রোন’ তৈরি করেছে—ইউক্রেন।
৭.
প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদনে শীর্ষ দেশ—ভারত (অক্টোবর ২০২৪)।
৮.
ই-গভর্নমেন্ট সূচকে শীর্ষ দেশ হলো—ডেনমার্ক। বাংলাদেশের অবস্থান ১০৩তম (জাতিসংঘ সার্ভে ২০২৪)।
৯.
বিশ্বের বৃহত্তম ‘ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ’ প্রতিষ্ঠানের নাম—Binance।
১০.
বিশ্বে প্রথম ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন’ গঠন করা হয় ১৯৬৩ সালে—দক্ষিণ ভিয়েতনামে।
১১.
বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা—৫০।
১২.
বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নাম—চাকমা।
আরও পড়ুন৪৮ জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, এইচএসসি পাস ১৮-৩৫ বয়সীর সুযোগ, ভাতা দৈনিক ২০০০৬ মার্চ ২০২৫১৩.
বাংলাদেশর ক্ষুদ্রতম ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নাম—ভিল (সংখ্যা ৯৫)।
১৪.
বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈলী বা আইসবার্গের নাম ‘এ২৩এ’। এটি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপের কাছে রয়েছে। হিমশৈলীটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকা উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
১৫.
বিশ্বে পিতৃকালীন ছুটির বিধান রয়েছে—৭৮টি দেশে।
১৬.
এশিয়ার ইন্দোনেশিয়াতে (২৪ জুলাই ২০২৪) চালু করে—গোল্ডেন ভিসা।
১৭.
বিশ্বের ১৪৭টি দেশে মোট বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে—৫৪০০টি।
১৮.
বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহর (ফোর্বস ২০২৪) হলো—সিঙ্গাপুর সিটি। ঝুঁকিপূর্ণ শহর—কারাকাস (ভেনেজুয়েলা)।
১৯.
বিশ্বের জনসংখ্যার শীর্ষ স্থানের দেশ ভারত (১৪৫ কোটির বেশি)। বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম, ঘনত্বে ষষ্ঠ, সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান।
২০.
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইয়ের লেখক আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজন করতে না দেওয়ার দাবি
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের (সাদপন্থী) ইজতেমা আয়োজন করতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থী) অনুসারীরা। পাশাপাশি তাঁরা সরকারের প্রস্তাবে রাজি হয়ে আগামী বছরের মার্চ মাসে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা করার কথাও বলেছেন। গত আয়োজনে ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সাজা নিশ্চিতের দাবিও জানান তাঁরা।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। ‘হযরত ওলামায়ে কেরাম ও দাওয়াত ও তাবলিগের সাথীবৃন্দের’ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তাবলিগের শুরায়ে নেজামের সাথী মুফতি আমানুল হক বলেন, ‘কোরআন ও হাদিসের কথা যারা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে, তাদের ইসলামি দাওয়াতের এই ময়দানে জায়গা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাসুল (সা.)-এর তরিকা, সুন্নাহ ও হাদিসের অনুসরণে যারা তাবলিগি কার্যক্রম পরিচালনা করে, কেবল তারাই ইজতেমা করার অধিকার রাখে।’
মুফতি আমানুল হক আরও বলেন, ‘সরকারের ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সাদপন্থীরা শেষবারের মতো টঙ্গী ময়দানে ইজতেমা করার অনুমতি পেয়েছিল। সেই প্রজ্ঞাপনে তাদের স্বাক্ষরও রয়েছে। সরকার তখনই বুঝেছিল—একই মাঠে দুই পক্ষের ইজতেমা আয়োজন দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের ইজতেমা মাঠে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে মুফতি আমানুল হক বলেন, ‘গত বছরের ১৮ ডিসেম্বরের রাতে সাদপন্থীদের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের বাংলাদেশি নেতা ওয়াসিফ সাহেবের চিঠিতে উল্লেখ ছিল, “যুগটা ব্যতিক্রমী, সবাই প্রস্তুতি নিয়ে আসবে”—এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তারা হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর টর্চলাইট নিয়ে হামলা চালানো হয়, যা একতরফা সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছিল।’ তিনি দাবি করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকেও প্রমাণিত হয়েছে, ‘এ হামলা একতরফাভাবে সাদপন্থীদের পক্ষ থেকেই হয়েছিল।’
মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী ও ইসলামবিরোধী মহলের প্ররোচনায় তাবলিগ জামাতে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীরা বেআইনি পথে টঙ্গী ইজতেমা মাঠ ও কাকরাইল মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এমনকি তাঁরা সরকারকে বিব্রত করতে ‘যমুনা ভবন ঘেরাও’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিশৃঙ্খলাকারীদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং শুরায়ে নেজামপন্থীদের কাকরাইলে দাওয়াত কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয় বলে জানান মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারির ৬৩ নম্বর স্মারকে বলা হয়, সাদপন্থীরা শেষবারের মতো ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গীতে ইজতেমা করতে পারবে, এরপর আর নয়। তারা স্বাক্ষর দিয়ে সেই শর্ত মেনে নিয়েছিল।
শুরায়ে নেজামপন্থীরা বলেন, ‘আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছি। আগামী বছরের মার্চে ইজতেমা আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের কাছে ৪ দফা দাবি পেশ করেন তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থী) অনুসারীরা। তাঁদের দাবিগুলো হলো ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ইজতেমার তারিখ ঘোষণা, টঙ্গী ইজতেমা মাঠকে অস্থায়ীভাবে ‘কেপিআই’ হিসেবে ঘোষণা, বিদেশি মেহমানদের ভিসা সহজীকরণের পরিপত্র নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রকাশ ও গত বছরের ইজতেমা মাঠে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মতিন উদ্দিন আনোয়ার, রুহুল আমিন এবং তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ে নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।