কুমিল্লার তিতাসে কবরস্থানের পাশ থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার দক্ষিণ আকালিয়া থেকে হোমনার মিরাস গ্রামের ছেলু মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগমের (৪৮) লাশটি উদ্ধার হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি দেখে সৌদি আরব থেকে মায়ের লাশ শনাক্ত করেন ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আয়েশা বেগম তিন মাস ধরে উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামে বড় বোনের বাড়ি থাকতেন। তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে বিবাহিত। ছেলে শির মিয়া সৌদিপ্রবাসী। তাঁর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বাড়িতে স্বামী ও সন্তান না থাকায় তিনি বোনের বাড়ি থাকতেন। 

গতকাল রোববার বিকেলে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে আসেন তিনি। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রবাসী ছেলে তাঁর মাকে চিনতে পারেন। বাড়িতে বিষয়টি জানালে আজ সোমবার তাঁর স্বজনরা তিতাস থানায় এসে তাঁকে শনাক্ত করেন।

আয়েশা বেগমের স্বামী ছেলু মিয়া ও মেয়ে শিউলী আক্তার জানান, এক বছর আগ থেকে আয়েশা বেগম মানসিকভাবে অসুস্থ। মাঝেমধ্যে তিনি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন, একবার স্ট্রোকও করেছেন। তিন মাস ধরে তাঁর সমস্যা বেড়েছে। এ জন্য বোনের বাড়ি থাকতেন।

তিতাস থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করলে এটি আয়েশার বলে তাঁর স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। তাঁর গায়ে কোনও আঘাতে চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ