নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার নোয়াইল গ্রামে ডাকাতি করতে আসা দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন গ্রামবাসী।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সোনারগাঁ থানার ওসি এমএ বারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত রবিবার মধ্যরাতে একই গ্রামের মামুনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেসময় ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে চার ভরি স্বর্ণ, পাঁচটি মোবাইল ও নগদ ২২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। বাধা দিলে মামুনের স্ত্রী মনি আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে দুই কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ
যশোরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
এলাকাবাসী জানান, সোমবার রাত দেড়টায় দিকে ডাকাত দল আবারো এলাকায় এসেছে এমন খবর পেয়ে মোবাইল ও অনলাইনে সবাইকে সতর্ক করা হয়। এলাকাবাসী পরে ডাকাত দলের দুই সদস্য জাহের আলী (৪৭) ও ইমন মিয়াকে (২৪) আটক করে। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা। তারা সোনারগাঁ পৌরসভার রাইজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। জিজ্ঞেস করলে দুইজনই স্বীকার করেন, গত রবিবার রাতে মামুনের বাড়িতে তারাই ডাকাতির করেছিলেন। এলকাবাসী পরে তাদের সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
সোনারগাঁ থানার ওসি এমএ বারী বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে দুই ডাকাতকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। পুলিশের একটি বিশেষ টিম ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করেছে। আইনানুগ কার্যক্রম শেষে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৬৮ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত: হুতি
হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি আটককেন্দ্রে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৬৮ জন আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছেন বলে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির টিভি চ্যানেল আল মাসিরাহ জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি
আল মাসিরাহর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদা প্রদেশে অবস্থিত ওই আটককেন্দ্রে হামলার ফলে আরও ৪৭ জন অভিবাসী আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগের অবস্থা সংকটজনক। আল মাসিরাহ টেলিভিশন হামলার দৃশ্যের গ্রাফিক ফুটেজ প্রচার করেছে, যেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা বহু মরদেহ দেখা গেছে।
তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
এই হামলার কিছুক্ষণ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৫ মার্চ হুতিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করার নির্দেশের পর থেকে তারা ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
সেন্টকম জানায়, এসব হামলায় শত শত হুতি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুতি নেতা নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
হুতির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, মার্কিন হামলায় অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যদিও তারা হুতি সদস্যদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম উল্লেখ করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলার সময় সাদা প্রদেশের ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে ১১৫ জন আফ্রিকান অভিবাসী ছিল।
১১ বছরের সংঘাতের কারণে ইয়েমেনে মানবিক সংকট সত্ত্বেও, অভিবাসীরা এখনও আফ্রিকার হর্ন অঞ্চল থেকে নৌকায় করে ইয়েমেনে আসছে। তাদের বেশিরভাগের লক্ষ্য সৌদি আরবে পৌঁছে কাজ খোঁজা। কিন্তু বাস্তবে তারা শোষণ, আটক, সহিংসতা এবং যুদ্ধক্ষেত্র পেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার মুখোমুখি হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আইওএম আরও জানিয়েছে, শুধু ২০২৪ সালেই প্রায় ৬০ হাজার ৯০০ অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছে, যাদের অধিকাংশের বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই।
এর আগে মাসের শুরুতে হুতি-চালিত সরকার জানিয়েছিল, রেড সি উপকূলের রাস ইসা তেল টার্মিনালে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সেন্টকম জানায়, ওই হামলা রাস ইসার জ্বালানি গ্রহণের সক্ষমতা ধ্বংস করেছে, যা হুতিদের পরিচালনা এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতাকে হ্রাস করবে।
গত মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক হামলার নির্দেশ দেন এবং হুতিদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার হুমকি দেন। তিনি ইরানকেও সতর্ক করেন, যাতে তারা হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ না করে। যদিও ইরান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।