মতলব দক্ষিণে আলুর বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কা
Published: 18th, March 2025 GMT
চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে, আলুর কাঙ্ক্ষি দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ কৃষক। এদিকে, আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে জায়গা নেই বলে বেপারীদের জানিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১৯টি ব্লকে ২ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে। আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬৮ হাজার মেট্রিক টন।
উপজেলার আশ্বিনপুর, খরগপুর, পাঠন, পিতামবর্দ্দি, আধারা, খিদিরপুর, কাজিয়ারা, নায়েরগাঁও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলে বাড়িতে নিচ্ছেন। তার পর সেগুলো ট্রাক, মিনি ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশায় করে নেওয়া হচ্ছে হিমাগারে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। এ উপজেলার তিনটি হিমাগারের মধ্যে বর্তমানে দুটি চালু আছে। ফলে, আলু সংরক্ষণে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই, বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা।
মার্শাল কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেছেন, “আমাদের এই হিমাগারের ধারণক্ষমতা ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং নায়েরগাঁয়ের হিমাগারের ধারণক্ষমতা আমাদের মতোই। ইতোমধ্যে হিমাগার দুটি আলুতে ভরপুর হয়েছে। আর আলু রাখার জায়গা নেই।”
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চৈতন্য পাল বলেছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে।
ঢাকা/জয়/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আগামীকাল বুধবার শেষ হচ্ছে। ওই দিন রাত ১২টার পর থেকে জেলেরা নদীতে জাটকা ছাড়া সব ধরনের মাছ ধরতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ।
এর আগে গত ১ মার্চ থেকে দুই মাস মেঘনায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। জাটকা রক্ষায় অভয়াশ্রম নিরাপদ করতে ওই এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। স্থানীয় মৎস্য বিভাগ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে জারি করা ওই পরিপত্রে জাটকা বা ইলিশ ধরা ছাড়াও এগুলো বিক্রি, মজুত, পরিবহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলেরা সব মাছ ধরতে পারবেন। তবে জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা আগামী জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ ছাড়া মেঘনায় অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহারও নিষিদ্ধ থাকছে।
বিজয় কুমার দাস দাবি করেন, মতলব উত্তর উপজেলার সীমানায় গত ১ মার্চ থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত মোট ১৮০টি অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে ১৭ টন জাটকা, ১৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ৭টি নৌকা জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেল-জরিমানা করা হয় ১৭ জেলের। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জাটকা রক্ষা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত তাঁরা এ সহায়তা পাবেন।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট জেলেরা। ষাটনল এলাকার জেলে রিপন বর্মণ ও ফুলচান বর্মণ বলেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। আর্থিক সমস্যায় গত দুই মাস খুব কষ্টে কেটেছে। আগামীকাল রাত ১২টার পর তাঁরা আবার মেঘনায় মাছ ধরা শুরু করবেন।