নবায়নযোগ্য জ্বালানীর একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন
Published: 18th, March 2025 GMT
ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর মালিকানাধীন ৬০০ একর জমিতে ‘গ্রাউন্ড মাউন্টেড সোলার ভিপি (১০০-২০০ মে.ওয়াট) নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদনের একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (১৮মার্চ) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কমিটির সভাপতি অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পটি পিপিপি’র অধীনে বাস্তবায়ন করা হবে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, চট্রগ্রাম জেলার মীরসরাই এবং ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বেজার মালিকানাধীন প্রায় ১৭০০০ একর জমিতে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ চলমান আছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনির্মাণ এবং টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বেজা কর্তৃক জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে পিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে শিল্পাঞ্চলের সোনাগাজী অংশে উক্ত প্রকল্পের জন্য ৬০০ একর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ অবস্থায়, ‘প্রকিউরমেন্ট গাইড লাইন ফর পিপিপি প্রজেক্ট, ২০১৮ প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, নীতিগত অনুমোদনের পর ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কারিগরি ও আর্থিক বিষয়সমূহ চূড়ান্ত করা হবে এবং পিপিপি গাইডলাইন অনুযায়ী উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বেসরকারি অংশীদার নির্বাচন করা হবে। সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুতের পরিমাণ ১৫৫০.৫৬ মেগাওয়াট।
ঢাকা/হাসনাত/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’