সন্ধ্যার আকাশে চোখ রাখলেই দেখা মেলে তারাসহ অসংখ্য মহাজাগতিক বস্তুর। খালি চোখে তারা দেখা গেলেও সেগুলোর পরিচয় সবার পক্ষে জানা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে চাইলে গুগলের তৈরি ‘স্কাই ম্যাপ’ অ্যাপের মাধ্যমে রাতের আকাশে থাকা তারার অবস্থান অনুযায়ী পরিচয় জানা যায়। রাতের আকাশ অন্বেষণের জন্য পকেট প্ল্যানেটেরিয়ামের কাজ করে থাকে অ্যাপটি।
স্কাই ম্যাপ অ্যাপটি তারা, গ্রহ, নক্ষত্রপুঞ্জ ও মহাকাশের অন্যান্য বস্তু বেশ সহজে শনাক্ত করতে সাহায্য করে। অ্যাপটি চালু করে আকাশের যেকোনো দিকে স্মার্টফোন ধরলেই তাৎক্ষণিকভাবে সেই আকাশে অবস্থান করা তারা, ছায়াপথ ও গ্রহের তথ্য জানা যায়। এই ইন্টারঅ্যাকটিভ অভিজ্ঞতা সব বয়সের মানুষের জন্য জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে দারুণ সব ধারণা দিতে পারে।
আরও পড়ুন২১ মার্চ পর্যন্ত দেশের আকাশে দেখা যাবে যেসব চমক১৫ মার্চ ২০২৫স্কাই ম্যাপ অ্যাপ স্মার্টফোনের জিপিএস, কম্পাস ও অ্যাক্সিলোমিটারের তথ্য ব্যবহার করে অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তির স্কাই ভিউ প্রদর্শন করে থাকে। তাই অ্যাপটি ফোনে চালু করলেই তারার মানচিত্র অনুযায়ী তথ্য দেখা যায়। শুধু তা–ই নয়, উল্কাবৃষ্টি, বিভিন্ন গ্রহের গ্রহণ ও গ্রহের সারিবদ্ধ অবস্থানের তথ্যও জানা যায়। এর ফলে মহাকাশ বিষয়ে পূর্বজ্ঞান ছাড়াই নক্ষত্রপুঞ্জ শনাক্ত করতে সাহায্য করে অ্যাপটি।
স্কাই ম্যাপ অ্যাপের মাধ্যমে টাইম ট্র্যাভেলও করা যায়। মনে করুন, ১৯৯০ সালের ২৯ জুলাই রাত ১১টা ২০ মিনিটে আকাশ কেমন ছিল, তা আপনি জানতে চান। অ্যাপটিতে সেই তারিখ লিখলেই অতীতের আকাশটি দেখতে কেমন ছিল, তা জানাতে পারে অ্যাপটি। শুধু তা–ই নয়, ২০২৯ সালের ২৯ জুলাই রাত ১১টা ২০ মিনিটে ভবিষ্যতের আকাশ কেমন হতে পারে, তারও সম্ভাব্য তথ্য জানাতে পারে। অফলাইনে ব্যবহার উপযোগী অ্যাপটি এরই মধ্যে গুগল প্লেস্টোর থেকে পাঁচ কোটির বেশিবার নামানো হয়েছে। এই ঠিকানা থেকে বিনা মূল্যে নামিয়ে ব্যবহার করা যাবে অ্যাপটি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
র্যাংকিংয়ে মিরাজ-জাকেরদের অগ্রগতি
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফর্ম করলেও এখনও টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ২০-এ জায়গা হয়নি কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। তবে দলগতভাবে বেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছেন জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল, বোলিংয়ে বড় ধাপ এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ব্যাটে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে এখন তিনি বোলিং র্যাংকিংয়ে ২৬তম স্থানে। অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে তিনি এখন আছেন তিন নম্বরে।
ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত উন্নতি হয়েছে জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল হকের। দুটি ইনিংসে ৫৬ ও ৪৭ রান করে মুমিনুল এগিয়েছেন ৫ ধাপ, এখন অবস্থান ৪৮তম। জাকের আলী এগিয়েছেন ১০ ধাপ, অবস্থান ৫০তম। শান্ত ৪ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৫৩তম স্থানে।
অন্যদিকে সিরিজে অসাধারণ পারফর্ম করে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি উঠে এসেছেন র্যাংকিংয়ের সেরা ১৫ বোলারের তালিকায়। প্রয়াত হিথ স্ট্রিকের পর তিনিই প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার হিসেবে টেস্ট রেটিংয়ে ছুঁয়েছেন ৭০০ পয়েন্টের মাইলফলক। বাংলাদেশ সফরেই তার এই অর্জন। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান বেনেট দুই ইনিংসে ৫৭ ও ৫৪ রান করে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০০-র মধ্যে ঢুকেছেন।
বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এখনও তালিকায় আছেন লিটন দাস, যদিও সিরিজে না থাকায় তিনি এক ধাপ পিছিয়ে যৌথভাবে এখন ৩৭তম। ফর্মহীনতায় ভোগা মুশফিকুর রহিম নেমে গেছেন ৪০তম স্থানে। বোলিং র্যাংকিংয়ে মিরাজের আগেই আছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, যার অবস্থান ২৩তম। এছাড়া সাকিব আল হাসান এখনো শীর্ষ ৫০-এ আছেন, তাসকিন আহমেদ রয়েছেন ৫১ নম্বরে।
অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে জায়গা ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই তালিকার নিয়মিত মুখ।