কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন এলাকা। সপ্তাহের যেকোনো দিন সেখানে গেলে দলবেঁধে থাকা নারীদের দেখা মিলবে। একই রকমের টি-শার্ট পরে, চোখে স্বপ্ন পূরণের উচ্ছ্বাস নিয়ে সেলফি তুলছেন তাঁদের অনেকেই। নতুন চাকরিতে পাওয়া বেতনের টাকায় কে কী করবেন, তা নিয়ে আলোচনায় মশগুল তাঁদের কেউ কেউ।

কেনিয়ার এসব নারী চাকরি করতে যাচ্ছেন সৌদি আরবে। কেনিয়া সরকারের উৎসাহে এবং নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রলোভনে তাঁদের এই দলবেঁধে বিদেশযাত্রা। দুই বছর সৌদি আরবে থাকবেন। গৃহকর্মীর কাজ করবেন। এরপর বেতনের টাকায় দেশে ঘরবাড়ি করবেন, সন্তানদের শিক্ষিত করবেন ও নিজেদের ভাগ্য ফেরাবেন, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করবেন—এসবই তাঁদের প্রত্যাশা।

যদিও প্রত্যাশা আর বাস্তবতায় ঢের ফারাক। সেটা বোঝা যায় একই বিমানবন্দরের আগমন এলাকায় গেলে। সেখানে অনেক নারী শ্রমিক সৌদি আরব থেকে ফিরে আসেন স্বপ্ন হারানোর রূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে। তাঁদের কেউ হয়তো ঠিকঠাক বেতন পাননি। কেউ–বা দিনের পর দিন অনাহারে থেকেছেন। কাউকে মারধর করা হয়েছে। আবার কেউ যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা কফিনবন্দী হয়ে দেশে ফিরেছেন।

আফ্রিকার দেশ কেনিয়া-উগান্ডা দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় দিন পার করছে। দেশ দুটির আয়ের অন্যতম এক উৎস বিদেশে থাকা শ্রমিকদের পাঠানো বিপুল রেমিট্যান্স। বিশ্বের অনেক দেশ সৌদি আরবের কাছ থেকে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই দেশটিতে শ্রমিক পাঠায়। নথিপত্র ঘেটে দেখা গেছে, কেনিয়া ও উগান্ডা সেই সুযোগ পায়নি।

সৌদি আরবে গত ৫ বছরে কেনিয়ার অন্তত ২৭৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন। বেশির ভাগই নারী। এর মধ্যে ২০২৪ সালে মারা গেছেন ৫৫ জন। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনগুলো অস্পষ্ট আর পরস্পরবিরোধী। বলা হয়েছে, কেউ হয়তো ট্রমায় মারা গেছেন। কেউ–বা পুড়ে কিংবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। অর্থাৎ তাঁদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। একজন নারীর মৃত্যুর কারণ লেখা হয়েছে, ‘ব্রেইন ডেড’।

শুধু কেনিয়া নয়, আফ্রিকার আরেক দেশ উগান্ডার অনেক নারী শ্রমিক সৌদি আরবে মারা গেছেন। যদিও উগান্ডার সরকার সেই সংখ্যা প্রকাশ করেনি।

প্রভাবশালীরা সম্পৃক্ত

সৌদি আরবে গিয়ে প্রতারিত এসব নারীর সুরক্ষায় কাজ করেন ফাবিয়ান কাউলে মুলি। তিনি কেনিয়ার পার্লামেন্টের শ্রমবিষয়ক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। প্রভাবশালী এই কমিটি নারী শ্রমিকদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত দাবি করতে পারে। আরও ভালো সুরক্ষার জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা করতে নিজ দেশের সরকারকে চাপ দিতে পারে। এমনকি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিবাসন কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রাখতে আইনের খসড়া করতে পারে।

কেনিয়া ও উগান্ডার প্রায় লাখ পাঁচেক শ্রমিক এখন সৌদি আরবে কর্মরত রয়েছেন। এটা সৌদি আরবের সরকারি হিসাব। তাঁদের বেশির ভাগই নারী। তাঁরা মূলত গৃহকর্মী হিসেবে রান্না, পরিচ্ছন্নতা ও শিশুদের দেখাশোনার কাজ করেন। সাংবাদিক ও অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে শ্রমিক নির্যাতনের কথা বলে আসছে। আর এ জন্য দায়ী দেশটির পুরোনো শ্রম আইন।

তবে পূর্ব আফ্রিকার অন্যান্য অনেক সরকারি কর্মকর্তার মতো ফাবিয়ান কাউলে মুলির মালিকানায় সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানোর একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করতে সৌদি আরবে যাওয়া শ্রমিকদের একজন মার্গারেট মুথেউ মুয়েনি বলেন, সৌদি নিয়োগকর্তা তাঁর পাসপোর্ট আটকে রেখেছিলেন। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁকে কেনিয়া থেকে ‘কিনে আনা’ হয়েছে। নিয়মিত খাবার দিতেন না।

এই পরিস্থিতিতে নিরূপায় হয়ে ফাবিয়ানের প্রতিষ্ঠানে ফোন করে সহায়তা চান মার্গারেট। তখন শ্রমিক পাঠানো ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তাঁকে বলেন, ‘আপনি সাঁতার কেটে লোহিত সাগর পার হয়ে এরপর দেশে (কেনিয়ায়) ফিরে আসতে পারেন।’

নিউইয়র্ক টাইমসের এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কেনিয়া, উগান্ডা আর সৌদি আরবে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে। সৌদি আরবের রাজপরিবারের সদস্যরা গৃহকর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান বিনিয়োগকারী। কেনিয়া ও উগান্ডায় রাজনীতিবিদ আর তাঁদের পরিবারের সদস্যরা শ্রমিক পাঠানোর প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক।

বর্তমানে প্রতি মাসে বেশ কয়েকবার কেনিয়ার প্রত্যন্ত এলাকাগুলো হতে অনেকে সৌদি আরব থেকে আসা কফিন বুঝে নেওয়ার জন্য রাজধানী নাইরোবিতে আসছেন। এসব কফিনে কারও পরিবারের সদস্য আছেন। কারও আছেন বন্ধু বা স্বজন। সবাই সৌদি আরবে কাজ করতে বা ভাগ্য ফেরাতে গিয়েছিলেন।

অনেক সময় এসব রাজনীতিবিদের সরকারি ও ব্যবসায়িক প্রভাবের সীমারেখা অনেকটা ঝাপসা হয়ে আসে। যেমন বিদেশে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের সুরক্ষায় ফাবিয়ানের শ্রম কমিটির উচ্চকণ্ঠ থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময় এই কমিটি নির্যাতনের প্রমাণ প্রকাশ্যে এলেও সেটা প্রত্যাখ্যান করেছে।

সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত উগান্ডার চারজন নারী গত মাসে একটি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানে ভিডিও পাঠান। তাঁরা বলেন, সৌদি আরবে মাস ছয়েক ধরে চারজনই বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন।

ভিডিওতে এক নারী বলেন, ‘ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক থাকতে থাকতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’ ওই নারী আরও জানান, তাঁরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়েছেন, যেটার মালিক উগান্ডার ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা। পরে উগান্ডার সংবাদমাধ্যম জানতে পারে, ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক দেশটির প্রেসিডেন্টের ভাই।

সৌদি আরবে বিদেশি শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য আইন রয়েছে। তবে অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই আইনের ব্যত্যয় ঘটে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ হকর ম র সরক র ক জ কর করব ন আরব র

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির