মার্চেই বিশ্বকাপের টিকিট পেতে পারে আর্জেন্টিনাসহ আর যেসব দল
Published: 20th, March 2025 GMT
৪৮ দলের বিশ্বকাপ। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলবে তিন স্বাগতিক কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। অন্য ৪৫টি দল বেছে নেওয়া হবে বাছাইপর্ব থেকে। বাছাইপর্ব শুরু হয়েছে অনেক আগেই। এখনো কোনো দল বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে পারেনি। তবে আজই বাছাইপর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বের টিকিট কাটা প্রথম দলটিকে পেয়ে যাতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপ।
‘প্রথম’ হওয়ার সুযোগ জাপানেরবাংলাদেশ সময় বিকেলে ঘরের মাঠে বাহরাইনকে হারালেই ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ফেলবে জাপানিরা। গত সেপ্টেম্বরে বাহরাইনকে প্রথম দেখায় ৫-০ গোলে হারানো জাপান আজ জিতলে গ্রুপের তৃতীয় দলের চেয়ে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে যাবে। এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে ১৮টি দল। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি পেয়ে যাবে বিশ্বকাপের টিকিট।
এ মুহূর্তে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে জাপান। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া আজ খেলবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে। ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, বাহরাইন ও চীন—এই চার দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট।
এশিয়া থেকে এই মার্চেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করে ফেলতে পারে ইরানও। এ মাসে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দলটির দুটি ম্যাচ উজবেকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। দুই ম্যাচ জিতে গেলেই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে ইরানের আরেকবার বিশ্বকাপ খেলা। ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষ দল দক্ষিণ কোরিয়ার সুযোগ আছে টানা ১১তম বারের মতো বিশ্বকাপের টিকিট কেটে ফেলার। এ মাসে দক্ষিণ কোরিয়া খেলবে ওমান ও জর্ডানের বিপক্ষে।
এশিয়া থেকে এ মাসেই বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে যেতে পারে উজবেকিস্তান ও ইরাক।
আজই বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হতে পারে জাপানের.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ছ ইপর ব
এছাড়াও পড়ুন:
সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।
একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।