ঈদ উপলক্ষে ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত পেনশনধারীদের ভাতা একই দিনে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
সাধারণত ব্যাংকারদের বেতন ২৩ মার্চের মধ্যে হয়ে থাকে। কিছু ব্যাংক এর পরেও বেতন দিলে মাস অতিক্রম করে না। এর আগে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন ২৩ মার্চের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন–ভাতা ও অবসরপ্রাপ্ত পেনশনধারীদের মার্চ মাসের অবসরের ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হলো।
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীরা চলতি মাসের বেতন–ভাতা ২৩ মার্চ পাবেন। অবসরপ্রাপ্ত পেনশনাররাও একই দিনে তাঁদের অবসরের ভাতা পাবেন।
এদিকে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আগামী ৩ এপ্রিলও ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। একই সময়ে বন্ধ থাকবে ব্যাংকও। তবে কিছু ব্যাংক শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত ২৩ ম র চ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।