যেসব গণমাধ্যম সাংবাদিকদের সম্মানজনক বেতন, ভাতা দেবে না সেসব গণমাধ্যম আর দরকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এ মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘একজন রিপোর্টার বা সাব–এডিটরকে ৩০, ৪০ বা ৫০ হাজার টাকা বেতন দিতে না পারলে ওই সব গণমাধ্যম বন্ধ করে দিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডিএসইসির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া সংগঠনের প্রায় পাঁচ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল আলম নিজেকে সাব–এডিটর দাবি করে বলেন, ‘আমার জীবনে প্রথম সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাই হচ্ছে সহসম্পাদক বা সাব–এডিটর হিসেবে। সাব-এডিটররা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। সাব-এডিটররা বেতনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার।’

ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, পিআইবি ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া, ডিইউজে সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, দৈনিক উত্তর দক্ষিণের সম্পাদক শেখ ফারুক আহমাদ, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
  • চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা