Samakal:
2025-07-31@06:37:16 GMT

বোলিংয়ে আর বাধা নেই সাকিবের

Published: 21st, March 2025 GMT

বোলিংয়ে আর বাধা নেই সাকিবের

নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে একটা সুখবর পেলেন সাকিব আল হাসান। দু’বার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয়বারে এসে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাস করলেন তারকা এ অলরাউন্ডার। যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে বোলিংয়ে সাকিবের আর কোনো বাধা নেই। তাঁকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট।

গত সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এর পর ইসিবি (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে সাকিবের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে কখনোই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নের মুখে না পড়া বাঁহাতি এ স্পিনার লাফবোরো ল্যাবেই প্রথম পরীক্ষা দেন এবং অকৃতকার্য হন। গত ডিসেম্বরে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) জানায়, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট বাদে আর কোথাও বোলিং করতে পারবেন না সাকিব। এর পর চেন্নাইয়ে আরেক দফা পরীক্ষা দিয়েও অ্যাকশন শুদ্ধ প্রমাণে ব্যর্থ হন তিনি। এর পর আর তাড়াহুড়ো না করে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কিছু কাজ করেন সাকিব। গত ৯ মার্চ সেই লাফবোরোতেই পরীক্ষা দেন সাকিব। গত বুধবার গভীর রাতে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তির সংবাদ।

সাকিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষায় সাকিব মোট ২২টি ডেলিভারি দিয়েছেন, যার প্রায় সবক’টিই ত্রুটিমুক্ত। এ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান সাকিব। সারের সঙ্গে প্রায় দুই সপ্তাহ অনুশীলন করেন তিনি। এই সারের হয়ে খেলতে গিয়েই বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন সাকিব। নিজেদের মাঠ কিয়া ওভালে বিশেষজ্ঞ কোচ, জিমনেশিয়াম সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সাকিবকে দিয়েছে তারা। প্রতিদিন প্রায় চার ঘণ্টা করে অনুশীলন করেন তিনি। প্রায় দুই সপ্তাহ অনুশীলনের পর তৃতীয় বার পরীক্ষা দিয়ে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি পান তিনি। সাকিবের বৈধতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি বিসিবি থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে, ‘গত ৯ মার্চ ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দেন সাকিব। 

সর্বশেষ মূল্যায়নের ফল অনুসারে, সাকিব তাঁর বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করেছেন। এর ফলে ইসিবি তাদের প্রতিযোগিতামূলক সব কাউন্টি ক্রিকেট ও দ্য হান্ড্রেড থেকে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’ ইসিবি শিগগির মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত আকারে তুলে ধরবে বলেও জানান বিসিবি। অবৈধ বোলিং অ্যাকশন থেকে মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে দেশে আসতে না পারায় জাতীয় দলের হয়ে তাঁর মাঠে নামা অনিশ্চিত। তবে দেশের বাইরে বিভিন্ন লিগে তাঁর সুযোগ বেড়ে যাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন অ য কশন পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত

মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।

এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির। 

আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ