Samakal:
2025-04-30@22:26:03 GMT

বোলিংয়ে আর বাধা নেই সাকিবের

Published: 21st, March 2025 GMT

বোলিংয়ে আর বাধা নেই সাকিবের

নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে একটা সুখবর পেলেন সাকিব আল হাসান। দু’বার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয়বারে এসে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাস করলেন তারকা এ অলরাউন্ডার। যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে বোলিংয়ে সাকিবের আর কোনো বাধা নেই। তাঁকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট।

গত সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এর পর ইসিবি (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে সাকিবের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে কখনোই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নের মুখে না পড়া বাঁহাতি এ স্পিনার লাফবোরো ল্যাবেই প্রথম পরীক্ষা দেন এবং অকৃতকার্য হন। গত ডিসেম্বরে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) জানায়, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট বাদে আর কোথাও বোলিং করতে পারবেন না সাকিব। এর পর চেন্নাইয়ে আরেক দফা পরীক্ষা দিয়েও অ্যাকশন শুদ্ধ প্রমাণে ব্যর্থ হন তিনি। এর পর আর তাড়াহুড়ো না করে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কিছু কাজ করেন সাকিব। গত ৯ মার্চ সেই লাফবোরোতেই পরীক্ষা দেন সাকিব। গত বুধবার গভীর রাতে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তির সংবাদ।

সাকিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষায় সাকিব মোট ২২টি ডেলিভারি দিয়েছেন, যার প্রায় সবক’টিই ত্রুটিমুক্ত। এ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান সাকিব। সারের সঙ্গে প্রায় দুই সপ্তাহ অনুশীলন করেন তিনি। এই সারের হয়ে খেলতে গিয়েই বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন সাকিব। নিজেদের মাঠ কিয়া ওভালে বিশেষজ্ঞ কোচ, জিমনেশিয়াম সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সাকিবকে দিয়েছে তারা। প্রতিদিন প্রায় চার ঘণ্টা করে অনুশীলন করেন তিনি। প্রায় দুই সপ্তাহ অনুশীলনের পর তৃতীয় বার পরীক্ষা দিয়ে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি পান তিনি। সাকিবের বৈধতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি বিসিবি থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে, ‘গত ৯ মার্চ ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দেন সাকিব। 

সর্বশেষ মূল্যায়নের ফল অনুসারে, সাকিব তাঁর বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করেছেন। এর ফলে ইসিবি তাদের প্রতিযোগিতামূলক সব কাউন্টি ক্রিকেট ও দ্য হান্ড্রেড থেকে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’ ইসিবি শিগগির মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত আকারে তুলে ধরবে বলেও জানান বিসিবি। অবৈধ বোলিং অ্যাকশন থেকে মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে দেশে আসতে না পারায় জাতীয় দলের হয়ে তাঁর মাঠে নামা অনিশ্চিত। তবে দেশের বাইরে বিভিন্ন লিগে তাঁর সুযোগ বেড়ে যাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন অ য কশন পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ