৬১.

দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে নিরাপদে, দ্রুত ও কম খরচে টাকা পাঠানোর পদ্ধতিকে কী বলে?

ক. ATM সেবা গ. ই-সার্ভিস

গ. ই-এমটিএস ঘ. কুরিয়ার সার্ভিস

৬২.

বাংলাদেশ বিশ্বের কততম রাষ্ট্র হিসেবে স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করে?

ক.৫৭ তম খ.৫৮ তম গ.৫৯ তম ঘ.৬০ তম

৬৩.

দেশের কয়টি চিনিকলের আখচাষি বর্তমানে ই-পুর্জি সেবা গ্রহণ করছে?

ক.

৫টি খ.১৫ টি গ.২০টি ঘ.২২ টি

আরও পড়ুনপেছাল গণিত পরীক্ষা, এসএসসি-২০২৫-এর নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ মার্চ ২০২৫

৬৪.

কম্পিউটারের সাহায্যে কেনাবেচার পদ্ধতিকে কী বলে?

ক. ইন্টারনেট খ. ই-কমার্স গ. ই-মেইল ঘ. ওপরের সব কটি

৬৫.

‘E-commerce’ ব্যবস্থায় পণ্য প্রাপ্তির পর বিল পরিশোধ করার পদ্ধতিকে কী বলে?

ক. Internet খ. COD গ. MTS ঘ. ATM

৬৬.

‘ডিজিটাল শব্দ’ দ্বারা কী বোঝায়?

ক. নম্বার খ. পরিমাণ গ. দশমিক ঘ. ভগ্নাংশ

৬৭.

গুড গভর্ন্যান্স বা সুশাসনের জন্য কোন ব্যবস্থা দরকার?

ক. জবাবদিহিতা খ. সত্যতা ও বিচার

গ. স্বচ্ছতা ঘ. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক

৬৮.

‘Leap Frog’ শব্দটির ভাবার্থ কোনটি?

ক. কথা এড়িয়ে যাওয়া খ. ব্যাঙ লাফ

গ. বড় বড় লাফ দেওয়া ঘ. সমকক্ষ হওয়া

৬৯.

‘SMS’ এর পূর্ণ নাম কী?

ক. Short Message Service খ. Short Multi Service

গ. Small Message Service ঘ. Server Message Service

৭০.

‘ই-পূর্জি’ কী?

ক. চিনিকলে আখ সরবরাহের অনুমতিপত্র

খ. আখের লিখিত বার্তা

গ. আখ সরবরাহের হিসাব

ঘ. জমির রেকর্ডের অনলাইনে অনুমতিপত্র

আরও পড়ুনবাউবিতে এলএলবি কোর্স, সব শাখার শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ১৮ মার্চ ২০২৫

৭১.

‘ই-পর্চা’ কী?

ক. জমির রেকর্ডের অনলাইনে অনুমতিপত্র

খ. আখের লিখিত বার্তা

গ. জমির কাগজপত্র ঘ. স্বাস্থসেবার বার্তা

৭২.

বাংলাদেশের প্রথম দিকের ই-সেবার অন্যতম কোনটি?

ক. ই-টিকেটিং খ. ই-পূর্জি

গ. ই-স্বাস্থ্য ঘ. ই-গর্ভনেন্স

৭৩.

নিচের কোন ই-সেবাটি ডাক বিভাগের সম্পর্কিত?

ক. ই-পূর্জি খ. টেলিবার্তা

গ. এমটিএস ঘ. ই-পর্চা

সঠিক উত্তর: ৬১. গ ৬২. ক ৬৩. খ ৬৪. খ ৬৫. খ ৬৬. ক ৬৭. ঘ ৬৮. গ ৬৯. ক ৭০. ক ৭১. ক ৭২. খ ৭৩. গ

*লেখক: প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্প খাতের উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়

গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার পরও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি। তারা মাটির নিচে থাকা গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করে জ্বালানি খাতকে আমদানিনির্ভর করার পাশাপাশি গোষ্ঠীবিশেষকে মোটা অঙ্কের কমিশন–বাণিজ্য করার সুযোগ দিয়েছিল।

অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে টেকসই কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা নেই। বরং তাদের নেওয়া কর্মসূচিতেও জন–অসন্তোষ প্রশমনের রাজনৈতিক প্রয়াস লক্ষ করা যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবারের গ্রীষ্মে লোডশেডিং সীমিত রাখার কথা বলেছেন। সেটা যদি গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে করা হয়, দেশবাসী স্বাগতই জানাবে। সরকার শিল্প খাতে গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে বাসাবাড়ি বা অন্য খাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে সমস্যা আরও বাড়বে। শিল্প খাতে গ্যাসের সরবরাহ কমানো মানে সেখানে উৎপাদন কমবে।

ইতিমধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাসের সরবরাহ কমানোয় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। জ্বালানি উপদেষ্টাকে পাঠানো চিঠিতে তারা বলেছে, কারখানাগুলোয় ন্যায্যতার ভিত্তিতে গ্যাসের সরবরাহ করা না হলেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কারখানা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধে সংকট তৈরি করতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে ১০৫ কোটি ঘনফুট যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয়। বিদ্যুৎ খাত এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তাই আবাসিক ও শিল্প গ্রাহকের গ্যাস-সংকট বেড়েছে। গ্যাসের জোগান না বাড়িয়ে রেশনিং করে বা এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার উদ্যোগ কোনো কাজে আসবে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

বিদ্যুৎ খাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এটা খুবই ভালো কথা। কিন্তু গ্যাসের উৎপাদন কিংবা আমদানি না বাড়াতে পারলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে। অনেক জ্বালানিবিশেষজ্ঞ দেশে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলেছেন। সেটা তো রাতারাতি সম্ভব নয়। তথাকথিত সিস্টেম লস বা চুরি কমিয়ে কিছু গ্যাস বা বিদ্যুৎ হয়তো সাশ্রয় হবে। এ অবস্থায় এলএনজি ও জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়াতে হবে; যাতে শিল্প খাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নিয়েও সরকার চাপে আছে। আইএমএফ গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। বর্তমানে পেট্রোবাংলা প্রতি ইউনিট গ্যাস বিক্রি করে পায় ২২ টাকা ৮৭ পয়সা। তাদের খরচ হচ্ছে গড়ে ২৭ টাকার বেশি—এটা সাধারণ গ্রাহকদের জন্য। এখানে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়। কিন্তু শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাস তারা বিক্রি করে ৩০ টাকায়; যেখানে ভর্তুকি দিতে হয় না।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে সজাগ থাকতে হবে যাতে দেশের শিল্প খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। জ্বালানি উপদেষ্টা গ্রাম ও শহরে লোডশেডিং ভাগ করে নেওয়ার কথা বলেছেন। খুবই আশার কথা। একই সঙ্গে তিনি যদি বলতেন, জনজীবনে লোডশেডিং কমানোর পাশাপাশি শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহও স্বাভাবিক থাকবে, তাতে শিল্পোদ্যোক্তারা আশ্বস্ত হতেন, দেশবাসীও।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ফলাফল বিপর্যয়ের নেপথ্যে.........
  • আদানির সঙ্গে চুক্তি ক‌রে শুল্ক ফাঁকি
  • শিল্প খাতের উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়
  • নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলে এডহক কমিটি নিয়ে বিতর্ক
  • গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক
  • দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৮ শিক্ষককে অব্যাহতি
  • এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫: ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার টিপস
  • কোস্টগার্ডে রাজস্ব খাতে নিয়োগ, ২৭ পদে আবেদন শুধু অনলাইনে
  • ৯ মাসে ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৬৯৬.৪৪ কোটি টাকা
  • পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ