আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভেঙে সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে আড়াই বছরের নিষেধাজ্ঞায় আছেন জিম্বাবুয়ের তারকা ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেইলর। অগামী জুনে তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। নিষেধাজ্ঞা শেষে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথাই ভাবছেন ৩৯ বছর বয়সী টেইলর। 

ক্রিকইনফোকে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো খেলতে চাই এবং বিশ্বাস করি আমি প্রভাব রাখতে পারবো। আগে আমি দেখতে চাই, শারীরিক ও মানসিকভাবে কোন পর্যায়ে আছি। যদি মনে হয় পারছি না, আমি মোটেও অস্বস্তিতে পড়বো না।’ 

টেইলর জানিয়েছেন, তিনি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কোচিং শুরু করতে চেয়েছিলেন। তবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিভমোর মাকোনি তাকে ক্রিকেটে ফেরা যায় কিনা ভাবতে বলেছেন, ‘তুমি কি আবার খেলবে, ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারো কিনা দেখবে?’ টেইলর জানার, ২০২৭ বিশ্বকাপের সময় তার বয়স হবে ৪১। তবে তিনি খেলতে পারবেন ওই বিশ্বাস রাখছেন। 

জিম্বাবুয়ে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক। টেইলর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় জানান। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গ করার কথা স্বীকার করেন। জিম্বাবুয়েতে টি-২০ লিগ চালুর কথা বলে তাকে ভারতে ডাকেন এক ব্যবসায়ী। এরপর তাকে কোকেন খাইয়ে ও ১৫ হাজার ডলার দিয়ে ম্যাচ না পাতালে ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেয়।  

ওই ঘটনা আইসিসির দুর্নীতি দমক ইউনিটকে জানাতে দেরি করায় তাকে আড়াই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। তার আগে এক বিবৃতি দিয়ে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণণা দেন টেইলর। নিজের ওই স্বীকারোক্তি মূলক বয়ানে জানান, তিনি কখনো কোন ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিং করেননি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স ট ইলর

এছাড়াও পড়ুন:

সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে

সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ  ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।

একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের  প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে,  মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে  ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: এবার কাদের বিপক্ষে, কবে খেলবে বাংলাদেশ?
  • পাঁচ বছরে বাড়বে ৬৫ শতাংশ
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ