জুটি বেঁধে ‘জংলি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী ও সিয়াম আহমেদ। এম. রাহিম নির্মিত সিনেমাটি ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে। আপাতত, জোর কদমে চলছে প্রচারের কাজ। তারই অংশ হিসেবে মুক্তি পেল সিনেমাটির একটি রোমান্টিক গান।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকালে মুক্তি পেয়েছে ‘বন্ধুগো শোনো’ শিরোনামের গান। রোমান্টিক ঘরানার গানটির কথা ও সুর করেছেন প্রিন্স মাহমুদ। কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা। গানের কথার পাশাপাশি দুই শিল্পীর গায়কির ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।

চমৎকার সব লোকেশনে গানটির দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। তাতে যেন মিশে একাকার বুবলী-সিয়াম। তার অভিব্যক্তি দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে মুগ্ধতার ছড়াচ্ছে। কমেন্ট সেকশনে চোখ ভোলালে তেমনটাই দেখা যায়। 

আরো পড়ুন:

লুঙ্গি পরে ‘জংলি’ দেখতে চান বুবলী

খন্দকার’স ফ্যাশনে বুবলী-দীঘির সিনেমার প্রচারণা

মেহেদি নামে একজন লেখেন, “ইমরান মাহমুদুল, প্রিন্স মাহমুদ, কনা— এই গান দিয়ে হৃদয়ে তির মেরেছেন। আর সেই দৃশ্যটা কল্পনায় ফুটিয়ে তুলেছে তোখড় অভিনেতা-অভিনেত্রী।” শ্রাবণ লেখেন, “পুরাই মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিয়েছে বুবলী-সিয়াম। গানের কথা, গায়কি, সুর, লোকেশন, দুজনের কম্বিনেশন জমে ক্ষীর।” আরেকজন লেখেন, “কালার গ্রেডিং, লোকেশন, মিউজিক, লিরিক্স, গায়কি, অভিনয়— সব মিলেমিশে একাকার, দারুণ একটা গান।” এমন হাজারো মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে। 

‘জংলি’ সিনেমার সবগুলো গানের কথা ও সুর করেছেন প্রিন্স মাহমুদ। এ গান নিয়ে তার ভাষ্য, “অভিনেতা সিয়াম, পরিচালক রাহিম থেকে শুরু করে ‘জংলি’ টিমের অনেকের চাওয়া ছিল— এবার যেন নব্বই দশকের সিনেমার মিষ্টি সুরের নিটোল প্রেমের গানগুলোর মতো একটা ডুয়েট গান তৈরি করি। তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণে আমার মতো করে ‘বন্ধুগো শোনো’ গানটি তৈরি করেছি। আশা করছি, গানটি ভালো লাগবে।”

আজাদ খানের গল্প নিয়ে ‘জংলি’ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা করেন সুকৃতি সাহা ও মেহেদী হাসান। সিয়াম-বুবলী ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন— প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, সোহেল খান, দিলারা জামান, রাশেদ মামুন অপু, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ