কম টাকায় খোলা বিশেষ অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়ে এখন তিন কোটি ছুঁই ছুঁই। এসব হিসাবে জমার পরিমাণও বেড়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে কৃষক, মুক্তিযোদ্ধা, গার্মেন্ট শ্রমিক কিংবা অতি দরিদ্রদের হিসাবে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমা রয়েছে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় ভাতাভোগীদের হিসাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

২০২৬ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক সবার অন্তত একটি করে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ২০২২ সাল থেকে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। যদিও কম টাকার এসব অ্যাকাউন্ট খোলার উদ্যোগ শুরু হয় ২০১০ সালে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল (এনএফআইএস) নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এই কৌশল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সবার অ্যাকাউন্টের জন্য আর্থিক সেবা সহজীকরণ ও আর্থিক শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বর্তমানে একই ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্টের কারণে দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়ে অ্যাকাউন্ট সংখ্যা অনেক বেশি। আসলে কত শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের অ্যাকাউন্ট আছে, তা চিহ্নিত করতে একটি সেন্ট্রাল ডেটাবেজ করার কাজ চলছে। 
সবাইকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে ড.

আতিউর রহমান গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমে ১০ টাকায় কৃষকের অ্যাকাউন্ট খোলার উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে অতি দরিদ্র, মুক্তিযোদ্ধা, গার্মেন্ট ও চামড়াশিল্পের কর্মী, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তির কম টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার কাজ হাতে নেওয়া হয়। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা জমার বিপরীতে খোলা এ ধরনের অ্যাকাউন্ট ‘বিশেষ হিসাব’ নামে পরিচিত। 
বিশেষ এ অ্যাকাউন্ট সচল রাখার জন্য ব্যাংকগুলোর প্রতি বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার কৃষক ভর্তুকিসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতা এসব হিসাবের মাধ্যমে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ধরনের অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেন না হলেও কিংবা কোনো টাকা জমা না থাকলেও, হিসাব চালু রাখার বিধান রয়েছে। অন্যসব অ্যাকাউন্টের মতো এখানে সার্ভিসচার্জ কাটার সুযোগ নেই। আবার কৃষকের হিসাব কার্যকর করতে ৭৫০ কোটি টাকার কম সুদের একটি পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি চলমান আছে।

কাদের কত অ্যাকাউন্ট, জমার শীর্ষে কারা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে কম টাকায় খোলা অ্যাকাউন্ট ২ কোটি ৮১ লাখ ছাড়িয়েছে। এক বছর আগে যা ছিল ২ কোটি ৭০ লাখ। এক বছরের ব্যবধানে অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ১১ লাখের বেশি। কম টাকার এসব হিসাবের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগী এবং কৃষকদের। এই দুটি ক্ষেত্রেই অ্যাকাউন্ট সংখ্যা এক কোটির ঘর পেরিয়েছে। সর্বোচ্চ জমা সামাজিক সুরক্ষায় ভাতাভোগীদের। গত ডিসেম্বর শেষে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার। এক বছর আগে যা ছিল ৯৮ লাখ ৬৬ হাজার। আর জমার পরিমাণ প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। এক বছর আগে ছিল ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা।
১০ টাকার বিনিময়ে কৃষকের খোলা অ্যাকাউন্ট দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৯১ হাজার। এক বছর আগে যা ছিল ১ কোটি ৩ লাখ ৬৩ হাজার। এক বছরের ব্যবধানে এ ধরনের হিসাবে জমার পরিমাণ ২৩ শতাংশের বেশি বেড়ে গত ডিসেম্বর শেষে ৭৩১ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ৫৯২ কোটি টাকা। গত বছর অতিদরিদ্রদের হিসাবে জমা বাড়লেও কমেছে হিসাব সংখ্যা। গত ডিসেম্বর শেষে এ ধরনের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ লাখ ২৬ হাজার। এক বছর আগে যা ছিল ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার। এ ধরনের হিসাবে জমার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ বেড়ে গত ডিসেম্বর শেষে ২৪৯ কোটি টাকা হয়েছে।

গত বছর মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যাকাউন্ট বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। গত ডিসেম্বরে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৯ হাজার। এক বছর আগের তুলনায় যা সাড়ে ১৭ শতাংশ বেশি। আর জমার পরিমাণ প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে ৯১৩ কোটি টাকায় ঠেকেছে।
অ্যাকাউন্ট বৃদ্ধির হারে এর পরে রয়েছে তৈরি প্রশাক শিল্প শ্রমিক। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ধরনের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৩৭ হাজার। এক বছর আগে যা ছিল ৯ লাখ ৩৯ হাজার। এক বছরে বেড়েছে ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। জমার হার বেড়েছে আরও বেশি। গত ডিসেম্বর শেষে এ ধরনের অ্যাকাউন্টে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। এক বছর আগের তুলনায় যা ৩০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। 
এ ছাড়া ‘অন্যান্য’ খাতের অ্যাকাউন্ট সবচেয়ে বেশি বাড়লেও জমা কমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে এ ধরনের হিসাব ২৭ শতাংশ বেড়ে ২৫ লাখ ২১ হাজারে ঠেকেছে। আর এক বছরে জমার পরিমাণ সাড়ে ২৭ শতাংশ কমে ৭৯০ কোটি টাকায় নেমেছে।

অ্যাকাউন্ট খোলার শীর্ষে কারা
বিশেষ অ্যাকাউন্টের অর্ধেকের বেশি রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে। জমার বড় অংশও এসব ব্যাংকে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট হিসাবের মধ্যে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে আছে ১ কোটি ৪৬ লাখ। যেখানে জমা আছে ৩ হাজার ২ কোটি টাকা। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ৭০ লাখ ৪৪ হাজার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ৬৫ লাখ ৬ হাজার হিসাবে জমা রয়েছে ১ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। আর বিদেশি ব্যাংকের ৬৯টি অ্যাকাউন্টে আছে মাত্র ৬ লাখ টাকা।
অ্যাকাউন্ট খোলার শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে সোনালী ব্যাংকে। মোট অ্যাকাউন্টের ২৪ শতাংশের বেশি এই ব্যাংকে। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১৭ শতাংশ, অগ্রণীতে ১৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া ১৩ শতাংশ এবং জনতা ব্যাংকে রয়েছে ১০ শতাংশ হিসাব।
এসবের বাইরে ১০০ টাকার বিনিময়ে স্কুল ব্যাংকিং খোলার সুযোগ রয়েছে। স্কুলের পরিচায়পত্র ও জন্মনিবন্ধন কার্ডের কপি দিয়ে যে কোনো স্কুল শিক্ষার্থী খুলতে পারে এই হিসাব। বর্তমানে ৪৪ লাখ ২৮ হাজারের বেশি এ ধরনের হিসাব রয়েছে। যেখানে জমা রয়েছে ২ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। অবশ্য স্কুল ব্যাংকিং খোলায় এগিয়ে আছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এসব ব্যাংকের ৩১ লাখ ১৮ হাজার হিসাবে জমা আছে ১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের ১১ লাখ ২১ হাজার অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ৪০৫ কোটি টাকা। বিশেষায়িত ব্যাংকের এক লাখ ৮৬ হাজার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। আর বিদেশি ব্যাংকের মাত্র ২ হাজার ৭০৬টি স্কুল ব্যাংকিং হিসাব রয়েছে। যেখানে জমার পরিমাণ ১০ কোটি টাকা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ ধরন র হ স ব কম ট ক আর থ ক সবচ য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জীবন বাঁচাতে রক্ত দিন

বাংলাদেশ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন ২০০২ অনুসারে রক্তদাতার বয়সের সীমারেখা হচ্ছে ১৮ থেকে ৬০ বছর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠী প্রাপ্তবয়স্ক ও স্বাস্থ্যবান; ১৮ থেকে ৬৬ বছর বয়সের সীমারেখার মধ্যে সে দেশের মানুষকে রক্তদাতা হিসেবে গণ্য করা হয় বং তাঁদের মধ্যে ১০ শতাংশ লোক রক্তদানে অভ্যস্ত। সুইজারল্যান্ডসহ উন্নত বিশ্বের আরও অন্যান্য দেশেও বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়।

অনুন্নত বিশ্বে এ রক্তদাতার হার ১ ভাগের কম। বাংলাদেশে এ রক্তদানের সংক্ষেপ চিত্র হচ্ছে, প্রতিবছর বিভিন্ন হাসপাতালের প্রয়োজন ১০ লাখ ইউনিট এবং স্বাস্থ্যবান সক্ষম নিরাপদ রক্তদাতাদের থেকে সংগৃহীত হয় ৪ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট।

সাধারণত অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর, যাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, যাঁদের কোনো কঠিন রোগ নেই এবং যাঁরা কোনো মারাত্মক ব্যাধি অন্যের দেহে সঞ্চালনের আশঙ্কা বহন করেন না, বিশেষ করে এইচআইভি ভাইরাস; তাঁদের রক্তদাতা হিসেবে উপযোগী বলে গণ্য করা হয়।

রক্তদাতা হওয়া উচিত স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ও বিনা মূল্যে জীবন রক্ষাকারী মহাকল্যাণকামী দানের প্রতি আস্থাশীল। বিনা মূল্যে দানের রক্ত, অর্থের মাধ্যমে কেনা রক্তের চেয়ে অনেক নিরাপদ। বিভিন্ন দেশে রক্ত পরিসঞ্চালন সেবায় রক্তদাতা নির্বাচনে রক্তদাতা ও গ্রহীতার নিরাপত্তা বিধানে আইন প্রণীত হয়েছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছর বয়সী মানুষকে রক্তদাতা হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং ডেনমার্কসহ কিছু দেশে ৭০ বছর বয়সেও রক্তদাতা নির্বাচিত হন, কিছু দেশ মা–বাবার সম্মতি ব্যতিরেকে ১৬ বছর বয়সী মানুষকেও রক্তদাতা হিসেবে নির্বাচিত করে।

রক্তের শিরা ছিদ্রকরণ (ভেনিসেকশন) পদ্ধতির একটি চিকিৎসা আইনসম্মত বিধান থাকা উচিত। একজন রক্তদাতা রক্তদানের পর অসুস্থ হলে রক্তদাতা নিজে বা তার নিকটাত্মীয়রা রক্তদানের কারণে অসুস্থ হয়েছেন বলে একটি বিরূপ ধারণার জন্ম নিতে পারে বলেই একজন সক্ষম রক্তদাতা অবশ্যই ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে এবং তাদের এমন কোনো অসুস্থতা থাকবে না যাতে সে সাধারণ রক্তদাতা হিসেবে নিগৃহীত হতে পারে। যেমন রক্তশূন্যতা, যক্ষ্মা, ক্যানসার, স্ট্রোক, এপিলেপসি, ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, কার্ডিয়াক, রেসপিরেটরি অথবা রেনাল ডিজিজ। উচ্চ রক্তচাপের ব্যক্তিদের রক্তদাতা ও রক্ত সংগ্রহকারী কর্তৃপক্ষ উভয়েই নির্দ্বিধায় বলতে পারে যে রক্তদানের মাধ্যমে উভয় পক্ষই একটি বিপদমুক্ত মহৎ কাজ করছে।

রক্ত সংগ্রহকারী কর্তৃপক্ষ রক্তদানে ইচ্ছুক লোকজনের মাঝে রক্তদানের তথ্যবহুল কাগজপত্র সরবরাহ করলে এ রকম একটি কঠিন কাজ অনেক সহজ হতে পারে। স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা বোনম্যারো দানের জন্য অত্যন্ত উপযোগী, সে জন্য অনেক রক্ত সংগ্রহকারী কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অনেক রেকর্ড সংরক্ষণ করে ম্যারোদাতা নিযুক্ত করতে সহায়তা করে। বিশ্ব মেরুডোনারস অ্যাসোসিয়েশনের (Buskard,1991) বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় যে প্রায় চার লাখ বোনম্যারো ডোনার তাঁদের কাছে মজুত আছে, যাঁদের এইচএলএ প্রকারভেদও সম্পন্ন করা আছে।

প্রতিটি রক্তদান ও সংগ্রহের সামগ্রিক তথ্য রেকর্ড করা এবং বছরের পর বছর সংরক্ষণ করা উচিত। পূর্ববর্তী রক্তদানের বিভিন্ন তথ্য যেমন রক্তের গ্রুপ রক্তদানে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার তথ্য, অণুজীব অ্যান্টিবডি উপস্থিতি, হঠাৎ বেহুঁশ বা পড়ে যাওয়ার ইতিহাস পরবর্তী সেশনের রক্তদানে অনেক সহায়তা করে। চলতি ও পূর্ববর্তী রক্তদানের বিভিন্ন তথ্য–সংবলিত বিশালসংখ্যক রক্তদাতার প্যানেল কম্পিউটারে সংগ্রহ করা বর্তমানকালের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

সমাজের সব স্তরের, সব ধর্মের, সব পেশার লোকজনকে আহ্বান জানাচ্ছি—
১. ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়স্ক সব সুস্থ নারী-পুরুষ, যাঁদের ওজন ১০০ পাউন্ড বা তার বেশি, তাঁরা প্রতি চার মাস অন্তর নিয়মিত রক্তদান করুন।
২. পরিচিতজনদের রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করুন।
৩. স্বেচ্ছা রক্তদাতা তৈরির আয়োজনে সক্রিয় সহযোগিতা করুন।
৪. স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত নেবেন না, এমনকি আপনজনের হলেও নয়; কারণ তার রক্তেও সুপ্ত থাকতে পারে সংক্রামক ঘাতক ব্যাধির জীবাণু।
৫. কখনো পেশাদার রক্তদাতার রক্ত কিনবেন না।
৬. রক্তদানে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না এবং বোনম্যারো নতুন রক্তকণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়।
৭. রক্তদান জীবনদান, তাই নিয়মিত রক্তদানের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

পরিবেশ বাঁচাতে বনায়ন যেমন পূর্বশর্ত। জীবন বাঁচাতে তেমনি দরকার নিরাপদ রক্ত।

ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ সাবেক অধ্যক্ষ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ। উপদেষ্টা, ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটি অব বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জীবন বাঁচাতে রক্ত দিন