বদলির পরও যাচ্ছিলেন না বিএমডিএ’র ইডি, বের করা হলো জোর করে
Published: 23rd, March 2025 GMT
বদলির পরও দপ্তর ছাড়ছিলেন না বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শফিকুল ইসলাম। তাই সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাকে জোর করেই দপ্তর ছাড়তে বাধ্য করেছেন। রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে ঘটে এমন ঘটনা।
শফিকুল ইসলাম সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব। গত বছরের জুলাইয়ে তাকে বিএমডিএর ইডি হিসেবে পদায়ন করা হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে তাকে রাজশাহীতে অবস্থিত বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়। তবে সেখানে না গিয়ে একমাস ধরে বিএমডিএতেই ছিলেন তিনি।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সুপারিশে তিনি বিএমডিএর ইডি হয়েছিলেন। তিনি এখনও আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা সুবিধা দিয়ে যাচ্ছিলেন। বদলির আদেশের পরও তিনি নাজিরুল ইসলাম নামে একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে বিএমডিএর রাজশাহী জোনের প্রধান করে পদায়ন করেন।
নাজিরুল ইসলাম ২৫১ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকার দুটি প্রকল্পের পরিচালক (পিডি)। আওয়ামীপন্থি এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই প্রকল্পের পিডি হন। ইডির বদলির আদেশের পরও তিনি নতুন কর্মস্থলে না গিয়ে নাজিরুল ইসলামকে জোনের প্রধান করে পদায়ন করলে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দুপুরে ইডি তার কার্যালয়ে ছিলেন। তখন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও সেচ শাখার প্রধান জাহাঙ্গীর আলম খানসহ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী তার দপ্তরে যান। তারা রবিবারের মধ্যেই দপ্তর ছেড়ে তাকে রেশম বোর্ডে গিয়ে যোগদান করতে বলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে শফিকুল ইসলামের তর্কবিতর্ক হয়। দু’-একজন তাকে চেয়ার থেকে ওঠাতেও এগিয়ে যান। তখন শফিকুল ইসলাম দায়িত্ব ছাড়তে রাজি হন। পরে তিনি জাহাঙ্গীর আলম খানকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। দায়িত্ব অর্পণ ও গ্রহণ সংক্রান্ত এক নথিতে শফিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম খান স্বাক্ষর করেন। পরে শফিকুল ইসলাম বেরিয়ে পড়লে তার চেয়ারে বসেন জাহাঙ্গীর আলম খান। আরো দুজন জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে টপকেই তিনি এই চেয়ারে বসে পড়েন।
দুপুরে ইডির দপ্তরে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলম খানকে চেয়ারে পাওয়া যায়। তিনি জানান, তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তবে অফিস আদেশ জারি হয়নি। এটা হয়ে যাবে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শফিকুল ইসলামের মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। পরে আবার ফোন করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দিন দপ্তরে ছিলেন না বিএমডিএর চেয়ারম্যান ড.
অফিস আদেশের আগেই জাহাঙ্গীর আলম খান ইডির চেয়ার দখল করলেন কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘এটা দখল না। কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বিএমডিএর নিজস্ব কর্মকর্তা। এ পদে বাইরের কর্মকর্তা না থেকে নিজেদের কর্মকর্তা থাকলে কাজ ভালো হয়।’’
ঢাকা/কেয়া/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ ঙ গ র আলম খ ন কর মকর ত ব এমড এ আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত