মুক্তির অনুমতি পেল তিন সিনেমা, রইল বাকি ‘বরবাদ’
Published: 24th, March 2025 GMT
ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে চারটি সিনেমা। এই চার সিনেমা নিয়েই চলছে আলোচনা। সিনেমাগুলো হল- ‘জ্বীন ৩’, ‘জংলি’, ‘দাগি’ ও ‘বরবাদ’। এর মধ্যে আজ তিনটি সিনেমা মুক্তির জন্য অনুমতি দিয়েছে সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড। এখন শুধু বাকি রইল শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমা।
এম রাহিম পরিচালিত সিনেমা ‘জংলি’। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটিতে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। তার বিপরীতে দেখা যাবে শবনম বুবলী ও দিঘী।
সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে ‘জংলি’ সিনেমার প্রযোজক অভি বলেন, “ঈদের সিনেমা হিসেবে প্রথম বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে ‘জংলি’। পাশাপাশি সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এই ছবিতে সিয়াম আহমেদ যে পরিশ্রম করেছেন তা দেখেও মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন তারা। আমার বিশ্বাস সিনেমা হলে জংলি দর্শকদের প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ করতে পারবে।”
‘জ্বীন থ্রি’ নির্মাণ করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত হরর ঘরানার এই সিনেমায় আব্দুন নূর সজলের সঙ্গে নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে। এই সিনেমা দিয়ে সাত বছর পর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ঘরে ফিরলেন নায়িকা।
সেন্সর সার্টিফিকেট পাওয়ার পর ‘জ্বীন থ্রি’ সিনেমার প্রযোজক অব্দুল আজিজ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমরা সিনেমাটি সেন্সর সার্টিফিকেট বোর্ডে জমা দিয়েছিলাম। বোর্ডের সদস্যরা সিনেমাটি দেখেছেন এবং প্রসংশা করেছেন। আজ আমরা সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি। আশাকরি দর্শকের ঈদ আনন্দ আরও বেড়ে যাবে।
শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে অ্যাকশন, ড্রামা ও রোমান্সের মিশেলে। এ ছবি দিয়ে দুই বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন আফরান নিশো। সঙ্গে আছেন নিশোর প্রথম সিনেমার নায়িকা তমা মির্জাও। এতে আরো অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, মনোজ প্রামাণিক, রাশেদ মামুন অপু, শহিদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।
এদিকে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে আজ জমা পড়েছে শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘বরবাদ’। আর মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’ সিনেমা শাকিব খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল, যিশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, ইন্তেখাব দিনার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে থাকবেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান।
‘দাগি’ সিনেমার নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, “বাংলাদেশ সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে আনকাট ‘ইউ’ (সার্বজনীন) সার্টিফিকেট পেয়েছে। সিনেমাটির রানটাইম ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড। এই ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘দাগি’। সবার সঙ্গে সিনেমা হলে দেখা হবে।”
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তম ম র জ আফর ন ন শ কর ছ ন বরব দ
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।