ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও দেখে ঘুরতে গিয়ে দেখেন এমন কিছুই নেই
এখন সব দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের জোয়ার। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা হচ্ছে, লেখালেখি হচ্ছে, অডিও-ভিডিওসহ নানা কিছু তৈরি হচ্ছে। এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওতে একটি দর্শনীয় স্থান দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মালয়েশিয়ার এক প্রবীণ দম্পতি। তাঁরা প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিলেন দেশটির পেরাক রাজ্যের একটি ছোট শহরে। কিন্তু যাওয়ার পরে তাঁরা জানতে পারলেন, যে দর্শনীয় স্থানটি দেখতে এসেছেন, আদতেই সেটার কোনো অস্তিত্বই নেই।
এই দম্পতি কুয়ালালামপুর থেকে গিয়েছিলেন কুয়াক হুলু শহরে। ভিডিওতে ‘কুয়াক স্কাই রাইড’ নামে মনোরম একটি কেব্ল কারের যাত্রা দেখানো হয়েছিল। যেখানে উপস্থাপিকা ট্রামে চড়ে পাহাড়ি দৃশ্য উপভোগ করছেন এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথাও বলছিলেন।
সেই ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়ে ওই দম্পতি অনিন্দ্যসুন্দর স্থানটি নিজ চোখে দেখার লোভ সামলাতে পারেননি। স্থানটি ঘুরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। ৩০ জুন তাঁরা কুয়াক শহরের একটি হোটেলে পৌঁছান। রিসেপশনে গিয়ে জানতে চান, কুয়াক স্কাই রাইডে যাওয়ার উপায় কী?
হোটেল কর্মী ডায়া প্রথমে ভেবেছিলেন, অতিথিরা হয়তো মজা করছেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, তাঁরা আসলেই জায়গাটির ঠিকানা জানতে চাইছেন। তাঁদের পুরোপুরি বিশ্বাস, কুয়াকে এমন একটি দর্শনীয় স্থান আছে। ডায়া ওই দম্পতিকে বলেন, এই ছোট্ট সুনসান শহরে আসলে তেমন কোনো দর্শনীয় স্থানই নেই।
ওই দম্পতি ডায়াকে বলেন, তাঁরা ‘টিভি রাকইয়াত’ নামের একটি চ্যানেলের একটি ভিডিও দেখেছেন। সেখানে দারুণ চটপটে এক নারী উপস্থাপিকা কুয়াক স্কাই রাইডের বিস্তারিত পরিচয়, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি তুলে ধরেছেন।
তখন ডায়া তাঁদের বলেন, ভিডিওতে দেখানো উপস্থাপিকা, ট্রামযাত্রা, দর্শনার্থী, পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য, রেস্তোরাঁ—সবই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। বাস্তবে এসবের অস্তিত্বই নেই। তাঁরা যা দেখেছেন, তার কোনো কিছুই বাস্তব নয়। এ কথা শুনে বৃদ্ধা চটে যান। বললেন, ‘মানুষকে নিয়ে কেন এই প্রতারণা?’
হোটেল কর্মী বলেন, ওই নারী এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে ভিডিওর সাংবাদিককে আদালতে নেওয়ার হুমকি দেন। ভিডিওর সবকিছু যে প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি, বারবার বোঝানো সত্ত্বেও তিনি তা বুঝতে পারছিলেন না।