জিপিএ ৫ পেলেও কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুব্রত
Published: 11th, July 2025 GMT
দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেই পড়ালেখা করতে হয়েছে সালথার সুব্রত কুমার কুণ্ডুকে। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণও হয়েছে সে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফললাভের আনন্দ উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গেই মনে ভর করেছে একরাশ দুশ্চিন্তা। ভালো কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারবে তো! অভাব-অনটনের সংসার, বাবা কি তার পড়ালেখার ব্যয় বহন করতে পারবেন?
সুব্রত ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুদি গ্রামের সুধীর কুণ্ডুর ছেলে। ছোট মুদি দোকানের আয় দিয়ে পাঁচজনের পরিবার চালানোই সুধীর কুণ্ডুর জন্য কঠিন। মেধাবী ছেলে পড়ালেখা করুক, তা তিনি চান। কিন্তু তাকে কলেজে ভর্তি করা, পড়ার ব্যয় চালিয়ে নেওয়া সম্ভব কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ বাবা। তাঁর তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সুব্রত দ্বিতীয়।
সুব্রত এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। যেখানে পাসের হার ছিল মাত্র ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অংশগ্রহণ করা ৬৪ জনের মধ্যে পাস করেছে মাত্র ২১ জন। মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে সুব্রত সবার নজর কেড়েছে। অথচ পরীক্ষার ঠিক আগে জ্বরে আক্রান্ত হয় সুব্রত, সর্দি-কাশিতে ভুগে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু মায়ের হাত ধরে, বাবার সাহসী কথায় ভরসা রেখে পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। সুব্রতর মা-বাবার একটাই আকুতি– যদি কেউ এই মেধাবী ছেলেটার পাশে দাঁড়ান, তাহলে সে হয়তো পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বালী বলেন, সুব্রতর পড়ালেখার ক্ষেত্রে যে কোনো সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঝালকাঠির জেলার নলছিটি উপজেলার চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চারটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়েছে, যার ফলে এসব বিদ্যালয়ের পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত বরিশাল বোর্ডের এসএসসি ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, উপজলার কুলকাঠি ইউনিয়নের দেলদুয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩ জন, রানাপাশা ইউনিয়নের ভেরনবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন, মাটিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন ও দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়য়ের ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু চার বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে না পারায় জেলার শিক্ষা মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, “নলছিটিতে চারটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। কেন তাদের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, সেই বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/অলোক/এস