Prothomalo:
2025-04-30@23:33:13 GMT

৯৮ বছর পর বই ফিরল গ্রন্থাগারে

Published: 25th, March 2025 GMT

গ্রন্থাগার থেকে নেওয়া বই সবাই সাধারণত নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই জমা দেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েক দিন এদিক–সেদিক হতে পারে বৈকি। তাই বলে ৯৮ বছর! হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের একটি গ্রন্থাগার থেকে নেওয়া বই ফিরেছে পুরো ৯৮ বছর পর। বইটি বার্ট্রান্ড ডব্লিউ সিনক্লেয়ারের লেখা ওয়াইল্ড ওয়েস্ট।

সিনসিনাটি অ্যান্ড হ্যামিল্টন কাউন্টি পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি বইটি ফেরত আসার খবর দিয়েছে। তারা বলেছে, ১৯২৬ সালে সর্বশেষ পড়তে নেওয়া বইটি গত বছরের শেষ দিকে তাদের প্রিন্স হিল শাখায় ফিরে এসেছে। এত দিন পর কোথা থেকে বইটি গ্রন্থাগারে ফেরত এল, সে উত্তরও দিয়েছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।

গ্রন্থাগারিক ক্রিস্টোফার স্মিথ বলেছেন, একটি পরিবার তাদের একজন বয়স্ক স্বজনের বাড়ির বইয়ের তাকে থাকা ওই বইটি খুঁজে পেয়েছেন। বই পাওয়ার কয়েক দিন আগে ওই স্বজন মারা যান।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউভিএক্সইউ নিউজকে স্মিথ আরও বলেন, ‘যেহেতু আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না, তাই ধরে নিয়েছি ওই ব্যক্তিই গ্রন্থাগার থেকে বইটি নিয়েছিলেন।’

এত আগে কে বইটি নিয়েছিলেন, সেটি খুঁজে বের করতে হলে অনেক পুরোনো কাগজপত্র ঘেঁটে দেখতে হবে বলে জানান স্মিথ।

বার্ট্রান্ড ডব্লিউ সিনক্লেয়ারের ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ ফিরে না আসায় কয়েক বছর পর গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ সেটির নতুন কপি কিনে আনে। সেই বইটি এখনো গ্রন্থাগারে আছে এবং লোকজন সেটি পড়তে নেন।

ফিরে পাওয়া বইটি সম্পর্কে স্মিথ আরও বলেন, ‘বইটি খুব ভালো অবস্থায় আছে, বলতে গেলে এটি প্রায় শত বছরের পুরোনো বই.

..সত্যিই এটি অবাক করা ব্যাপার!’

বইটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাওয়ায় স্মিথের উচ্ছ্বাস যেন থামছেই না। তিনি বলেন, ‘এটি যেভাবে আমাদের কাছে ফেরত এসেছে, সেটা ভেবে দেখার মতো। এটি কি আবর্জনায় পরিণত হতে পারত না? অথবা রিসাইকেল হতে কিংবা কাগজের মণ্ড তৈরির জন্য এটিকে গলিয়ে ফেললে কী হতো? বইটি যেমন ছিল, ঠিক তেমন বই আকারে আমাদের কাছে ফেরত এসেছে। এটা সত্যই দারুণ কিছু নয় কি?’

গ্রন্থাগার থেকে বই নেওয়ার পর সেটি নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত না দিলে জরিমানা দিতে হয়। তবে এই বইয়ের বেলায় কোনো জরিমানা করা হচ্ছে না বলে জানান স্মিথ। যদি জরিমানা করা হতো, তবে অতীত ব্যবস্থা অনুযায়ী ৯৮ বছর দেরি করার জন্য প্রায় ৭৩০ মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হতো।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ